অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ সর্বশেষ শিরোপা জয় করেছে ২০১২ সালে। রাদামেল ফ্যালকাওয়ের হাত ধরে তারা জয় করেছিল ইউরোপা লিগ। এর আগে ২০১০ সালে দিয়েগো ফোরলানের অসাধারণ নৈপুণ্যে ইউরোপা লিগ জয় করেছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ২০১০ ও ২০১২ সালে উয়েফা সুপার কাপও জয় করেছিল তারা। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমের পর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের দীর্ঘ শিরোপা খরা ঘুচেছিল ইউরোপীয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্টের মুকুট দিয়েই। তবে লা লিগায় শিরোপা ছিল অধরাই। বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের বাইরে ১৯৯৬ সালের পর কেবল দিপোর্তিভো লা করোনা (১৯৯৯-২০০০) ও ভ্যালেন্সিয়াই (২০০১-০২ ও ২০০৩-০৪) লা লিগা জয় করেছে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সামনে সুযোগ এসেছে দেড় যুগ পর লা লিগা জয় করার। শুক্রবার ভিসেন্ট ক্যালডেরন স্টেডিয়ামে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২-০ গোলে এলচেকে হারিয়েছে। এ জয়ে লা লিগার শিরোপা জয়ের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল সাইমনের শিষ্যরা। ৩৪ ম্যাচ খেলে ৮৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলে ৭৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা। বার্সেলোনা-অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ মৌসুমের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ড্র করলেও লা লিগার শিরোপা থেকে তাদের কেউই দূরে রাখতে পারবে না। অবশ্য বার্সেলোনা যদি মৌসুমের শেষ ম্যাচটা জয় করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে তবে রিয়ালের জন্য সুবিধাই হবে। জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারলে লা লিগায় আবারও উড়বে রিয়াল মাদ্রিদের পতাকা।
শুক্রবার নিজেদের মাঠে ডেভিড ভিয়া ভক্তদের হতাশই করেছিলেন। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে ভিয়ার পেনাল্টি কিক ফিরিয়ে দেন এলচের গোলরক্ষক ম্যানু হেরেরা। ফিরতি শটে গোল করার চেষ্টা করেছিলেন দিয়েগো কস্তা। তবে তা ছিল আরও দুর্বল আক্রমণ। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ভক্তদের ৭২তম মিনিটে উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে দেন মিরান্ডা। এরপর ৯০তম মিনিটে এলচের ক্রিস্টিয়ান সাপুনারু দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের ইশারায় মাঠের বাইরে চলে যায়। পেনাল্টিতে গোল করেন এবার দিয়েগো কস্তা। ২-০ গোলের জয় দিয়েই ভক্তদের মন ভরিয়েছেন দিয়েগো কস্তারা।