এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক। প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের গোলরক্ষক ছিলেন হুগো লরিস। কাতার বিশ্বকাপে লরিসদের হারিয়ে শিরোপা ছিনিয়ে নেন মার্টিনেজরা।
এরপর রবিবার রাতে প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল দুই গোলকিপারের। অনেকেই ভেবেছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালের রিপ্লে হতে যাচ্ছে। কিন্তু না, তা আর হল না। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক মার্টিনেজকে প্রথম একাদশে রাখলেনই না অ্যাস্টন ভিলার কোচ উনাই এমেরি। তার বদলে সুইডেনের গোলরক্ষক রবিন ওলসেনকে নামালেন তিনি। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের উপর ভরসা রাখতে পারলেন না কোচ। তাহলে কি ক্লাবে তার জায়গা নড়বড়ে?
মার্টিনেজের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভাল নয় অ্যাস্টন ভিলার। তাকে তাড়াতে হঠাৎই সক্রিয় হয়ে উঠেছে তার ক্লাব। বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়া এই গোলকিপারকে রাখতে চাইছেন না কোচ। জানুয়ারিতে ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু হলেই তাকে বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে। এমন খবরই প্রকাশ্যে এনেছে ইউরোপের ফুটবলে ট্রান্সফার সংক্রান্ত খবরের সবচেয়ে বড় সংস্থা ‘ফিকাজেস’।
তারা জানিয়েছে, আর কয়েক দিন পরেই ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু হবে। সেখানেই মার্টিনেজকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মার্টিনেজের মেজাজ এবং আচার-আচরণ নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন এমেরি। তাকে দল থেকে বের করে দিতে চান। সেভিয়ার ইয়াসিন বোনোকে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বিশ্বকাপে গোলকিপারদের মধ্যে মার্টিনেজ এবং ক্রোয়েশিয়ার ডমিনিক লিভাকোভিচের পাশাপাশি নজর কেড়েছিলেন মরক্কোর বোনোও। ফিকাজেস জানিয়েছে, “ক্লাব এবং মার্টিনেজের বিচ্ছেদ কার্যত সম্পূর্ণ। কোচ নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন যাতে যত দ্রুত সম্ভব মার্টিনেজকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়।”
এই খবর চমকে দেওয়ার মতোই। কারণ, তার আগে জানা গিয়েছিল এমেরি নিজে মার্টিনেজের সঙ্গে কথা বলে তার আচরণ সংযত করার চেষ্টা করবেন। কারণ, বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে মার্টিনেজকে নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। স্বর্ণের গ্লাভসের পুরস্কার নিয়ে তার কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিই হোক বা পুতুলের মুখে কিলিয়ান এমবাপের মুখোশ পরানো, বিভিন্ন কারণে তিনি এসেছেন শিরোনামে। ভবিষ্যতে ক্লাবের হয়ে যাতে কোনও বিতর্কে জড়িয়ে না পড়েন, সেজন্য আগেভাগেই তাকে সতর্ক করে দিতে চেয়েছিলেন এমেরি। না মানলে ভবিষ্যতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা গিয়েছিল। তবে যেভাবে মার্টিনেজকে তিনি প্রথম একাদশেই রাখলেন না, তাতে বোঝা গেল ক্লাবের অন্দরের পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। সূত্র: মিরর অনলাইন, বার্মিংহাম মেইল
বিডি প্রতিদিন/কালাম