প্রায় পাঁচ বছর পর দলে ফিরেও অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ম্যাট রেনশ। আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় সিডনি টেস্টের দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। কিন্তু দলের বাকিদের সঙ্গে সেভাবে মেশার সুযোগ মিলছে না তার।
দলের সবাই যখন একে অপরের কাঁধে হাত রেখে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলাচ্ছিলেন, তখন তাকে দাঁড়াতে হল দূরত্ব বজায় রেখে। শুধু তাই নয়, ডাগআউটে সবাই কথায়-আড্ডায় মেতে উঠলেও তাকে বসে থাকতে হচ্ছে একটু দূরে। কারণ দলে ফিরতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
২৬ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন ২০১৮ সালের এপ্রিলে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টে।
প্রায় পাঁচ বছর বিরতির পর আবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আরেকটি সিরিজে ডাক পেয়েছেন তিনি।
তবে সিডনিতে খেলা শুরুর আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন রেনশ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখপাত্র জানান, অসুস্থতা বোধ করায় ম্যাচের আগেই রেনশকে দলের বাকিদের কাছ থেকে আলাদা করে ফেলা হয়। পরীক্ষায় করোনাভাইরাসও ধরা পড়ে। তবে করোনা আক্রান্ত হলেও একাদশে রাখা হয়েছে তাকে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ায় সুবিধা হয়েছে রেনশর জন্য। এখনই মাঠে নামতে হচ্ছে না তাকে। তবে খেলা শুরুর আগে জাতীয় সংগীতের সময় ও মাঠের খেলা চলাবস্থায় আলাদা থাকতে হয় তাকে। অস্ট্রেলিয়া অবশ্য এরই মধ্যে রেনশর বিকল্প ফিল্ডার প্রস্তুত করে রেখেছে। খেলোয়াড় তালিকায় ‘ইমারজেন্সি ফিল্ডার’ হিসেবে রাখা হয়েছে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত ১ উইকেটে ১৩৮ রান তোলে। বৃষ্টি থামলে খেলার আবারও শুরু হয়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন মারনাস লাবুশেন ৭৭ ও উসমান খাজা ৫১।
বিডি প্রতিদিন/কালাম