কেবল আইপিএলই নয়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৬২ রান তাড়া করে জিতে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল পাঞ্জাব কিংস। গত আসরে সেই দানবীয় কীর্তির ভুক্তভোগী ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এবার সেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম পুঁজি (১১১ রান) ডিফেন্ড করে জয় পেল শ্রেয়াস আইয়ারের পাঞ্জাব।
গত কয়েক আসর ধরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) যেন রানবন্যার প্রতিযোগিতা হয়ে উঠেছে। ব্যাটিং স্বর্গে পরিণত হওয়া এই টুর্নামেন্টে কিছুটা বিরতি এনে দিলো পাঞ্জাব-কলকাতা ম্যাচ। ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে মাত্র ১১১ রানে অলআউট হয় পাঞ্জাব। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মাত্র ৯৫ রানেই গুটিয়ে যায় কলকাতা।
ঘরের মাঠ মুল্লানপুরে মঙ্গলবার টস জিতে আগে ব্যাট করে পাঞ্জাব। শুরু থেকেই তাদের ব্যাটিং ছিল ছন্নছাড়া। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন প্রভসিমরান সিং। এছাড়া প্রিয়াংশ আর্য ২২ এবং শশাঙ্ক সিং ১৮ রান করেন। বাকিরা বলার মতো রান করতে পারেননি। ফলে ১৫.৩ ওভারে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় পাঞ্জাব।
কেকেআরের হয়ে স্পিন-পেস উভয় বিভাগেই ভালো বোলিং হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হার্ষিত রানা। এছাড়া সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী নেন ২টি করে উইকেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা। একপর্যায়ে ২ উইকেটে ৬২ রান তুলে ফেলেছিল তারা। জয় তখন প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৭.৪ ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে অজিঙ্কা রাহানের আউটের পরই পাল্টে যায় ম্যাচের মোড়। রাহানে আদৌ এলবিডব্লিউ ছিলেন না, বল পিচড হয়েছিল স্টাম্প লাইনের বাইরে। কিন্তু রিভিউ না নেওয়ায় সাজঘরে ফেরেন কেকেআর অধিনায়ক।
এরপর আরও ৬ উইকেট হারিয়ে কেবল ১৭ রান যোগ করতে পারে কলকাতা। চাহালের বোলিং ছিল ভাঙনের মূল কারণ। তখনও আন্দ্রে রাসেল ক্রিজে থাকায় আশা ছিল কলকাতার। চাহালের এক ওভারে ১৬ রান নিয়ে সেই আশাটা জিইয়ে রাখলেও আর্শদ্বীপ সিংয়ের একটি মেডেন ওভার এবং ভৈভব অরোরার উইকেট আবারও ম্যাচ পাঞ্জাবের দিকে নিয়ে যায়।
শেষ উইকেট জুটিতে ঝুঁকি নিতে গিয়ে মার্কো জানসেনের প্রথম বলেই ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন রাসেল। তাতেই ১৬ রানে জয় নিশ্চিত হয় পাঞ্জাবের।
এই জয়ের পথে চাহাল ৪টি উইকেট, জানসেন নেন ৩ উইকেট।
বিডি প্রতিদিন/আশিক