ফেসবুক অধীনস্থ জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে এত বড় গলদ রয়েছে জানতেন? হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, তাদের নতুন ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা end-to-end encryption প্রযুক্তি প্রত্যেক ইউজারের চ্যাটকে সুরক্ষিত রাখে। যিনি পাঠাচ্ছেন ও যাকে পাঠাচ্ছেন- সেই দু’জন ছাড়া কোন তৃতীয় ব্যক্তি ওই চ্যাট ‘ডি-কোড’ করতে পারে না। কিন্তু নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি সেটিংসে বড়সড় গলদ খুঁজে পেয়েছেন।
অ্যাপল আইওএস সিকিউরিটি এক্সপার্ট জনাথন জিজিয়ারস্কি দাবি করেছেন, ডিলিট করলেও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কখনও পুরোপুরি মুছে যায় না। অ্যাপলের লেটেস্ট ভার্সনের মডেলের উপর তিনি পরীক্ষা চালিয়ে এই দাবি করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ডিলিটেড, ক্লিয়ার অল চ্যাট বা আর্কাইভড করলেও থেকে যায় চ্যাটের কথোপকথন। ফরেনসিক পরীক্ষায় সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট মুছে ফেলার উপায় হিসেবে জনাথন বলছেন, 'ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ‘আন-ইনস্টল’ করলে তবেই একমাত্র সমস্ত চ্যাট মুছে ফেলা সম্ভব।' তবে হোয়াটসঅ্যাপ ইচ্ছা করে এই ডেটা সংরক্ষণ করে না, সে কথাও অবশ্য বলেছেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপের নীতি অনুযায়ী তারা কোন ব্যক্তিগত ডেটা সংরক্ষণ করে রাখেন না, স্পষ্ট করেছেন জনাথন।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোন মুছে ফেলা চ্যাটের রেকর্ড ফরেনসিক পরীক্ষায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। শুধু হোয়াটসঅ্যাপ নয়, বাজারে চলতি যে কোন অ্যাপ যারা SQLite রেকর্ডস ব্যবহার করে তাদের সকলের ক্ষেত্রেই হার্ডডিস্ক থেকে মুছে ফেলা কথাবার্তা ফিরিয়ে আনা যায়। কারণ SQLite আইওএস ডেটাবেসে শূন্যস্থান তৈরি করতে দেয় না। যখনই কোন ডেটা ডিলিট করে দেওয়া হয়, সেটাকে ‘ফ্রি লিস্ট’-এ জুড়ে দেয় SQLite। তবে আপাতত এই সমস্যা শুধুমাত্র আইওএস-এই দেখা দিয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে এরকম কোন সমস্যা নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জুলাই ২০১৬/হিমেল-২২