নারীদের শরীরে কিছু স্থান রয়েছে স্পর্শকাতর। আর এসব স্পর্শকাতর জায়গাগুলো কোথায় তা খুঁজে বের করতে অনেক গবেষণা হয়েছে। এরপর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কোন কোন স্থানে স্পর্শ করলে নারীদের কামোত্তেজনা বাড়িয়ে তোলা যায়। জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের অমূল্য পরামর্শ যা আপনার দাম্পত্য জীবনকে আরও ঘটনাবহুল করে তুলবে-
১) নারীর চুল তার সৌন্দর্য্য বাড়াতেই শুধু সাহায্য করে না, তা স্পর্শ করলে তিনি সুখের সাগরেও তলিয়ে যান। কপাল থেকে ঘাড় পর্যন্ত চুল ম্যাসাজ করতে পারলে আপনার প্রিয় সঙ্গিনী মজবেনই।
২) কোমর এবং তার নীচের অংশ স্পর্শ করলে নারী-শরীরে উত্তেজনা বেড়ে যায়। তবে থাইয়ের ভিতরের অংশ এবং কোমরের ভাঁজে আপনার জিভের স্পর্শ তার সুখের মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়ে দিবে। তবে ভুল করেও এই সময় তার যৌনাঙ্গ স্পর্শ করবেন না। তার জন্য আরও সময় প্রয়োজন।
৩) ফিট ম্যাসাজের কথা এতকাল গল্পেই পড়েছেন। সঙ্গিনীকে অসীম সুখ দিতে হলে পায়ের গোড়ালি, পায়ের পাতা ও আঙুল ম্যাসাজ করুন। মাঝে মাঝে এই সমস্ত অংশগুলিতে জিভের ডগা দিয়ে সুড়সুড়ি দিন।
৪) সঙ্গিনীর কানের লতি স্পর্শ করুন। প্রথমে হাল্কা আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে যান কানের বাইরের অংশ। তারপর জিভ কাজে লাগিয়ে কানের প্রবেশদ্বার ও লতিতে স্পর্শ করুন। দেখবেন সুখস্পর্শে শিউরে উঠছেন প্রেয়সী। সুখের মাত্রা বাড়াতে অল্প কামড়ও বসাতে পারেন কানের লতিতে।
৫) নির্জনে সঙ্গিনীর হাত ধরে তো অনেক বসলেন। কখনও কি তার হাতের তালুতে সুড়সুড়ি দিয়েছেন। নারীর যৌন চেতনা বাড়িয়ে দিতে এই স্পর্শের বিকল্প নেই।
৬) প্রেমিকার হাঁটুর পিছনের অংশে হাত বোলানোর মতো উদ্ভট চিন্তা বেশির ভাগ পুরুষের মাথাতেই আসে না। একবার চেষ্টা করেই দেখুন না! ওই স্থানে তর্জনী ও ঠোঁট বুলিয়ে দিতে থাকলে কয়েক মিনিটেই দেখবেন আপনার থেকে আরও কিছু আশা করছেন সঙ্গিনী।
৭) পিঠের ওপর আলতো হাত রাখলে একই সঙ্গে নারী হৃদয়ে ভরসা ও অনুরাগের ভাব বিস্তার হয়। ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তার মেরুদণ্ড বরাবর জিভ বুলিয়ে যান, দেখবে সঙ্গিনীর গায়ে সুখের প্রাবল্যে কাঁটা দিয়ে উঠেছে।
৮) গলা ও বুকের ওপরের অংশে হাল্কা ছোঁয়ায় নারী হৃদয় এলোমেলো হয়, জেগে ওঠে শরীর।
৯) ঘাড়ের তলদেশে সুখস্পর্শ পেতে বিশ্বের বেশির ভাগ মহিলাই চান। একসময় জাপানে নারীদেহের ওই অংশটি দর্শনে পুরুষের যৌন উত্তেজনা বাড়াতে সাহায্য করত। যৌন অভিযানে দুঃসাহসী হয়ে সঙ্গীনির শরীরের এই অংশে মনোনিবেশ করুন।
বিডি প্রতিদিন/২০ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল