রাজনীতি সর্বদা রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণের জন্যই হওয়ার কথা। তেমন রাজনীতিতে নীতি থাকে, আদর্শ থাকে, থাকে কল্যাণমুখী কর্মসূচি ও লক্ষ্য। যুগে যুগে, দেশে দেশে স্বদেশ ও স্ব-জাতির সেবা করতে গিয়ে নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদরা অনেকে সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করেছেন, সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন, নিগ্রহ ভোগই শুধু নয়, জীবনও বিসর্জন দিয়েছেন। আমাদের এই উপমহাদেশে, এমনকি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশেও এমন গৌরবোজ্জ্বল উদাহরণ অনেক আছে। মানুষ দেখত এবং বিশ্বাসও করত, রাজনীতি সবার জন্য নয়; চরিত্রবান, আদর্শবান, নীতিবান, নির্লোভ ব্যক্তিরাই রাজনীতির মানুষ। রাজনীতির দীক্ষাই হলো দেওয়ার, নেওয়ার নয়। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ও যুদ্ধ চলাকালেও রাজনীতিতে এই মূল্যবোধসমূহের যথেষ্ট মূল্য ছিল। স্বাধীনতা লাভের পর তা আরও উন্নততর পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। কেন হয়নি সে প্রসঙ্গ অনেক বিস্তৃত ও তিক্ত। আজকের প্রসঙ্গ তা নয়। আমার লেখার পাঠকের সঙ্গে আমার বেশ যোগাযোগ হয়। কখনো কখনো লেখার বিষয় নির্বাচন করি পাঠকের পরামর্শ অনুযায়ী। যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আজকের লেখায় আলোচনা করতে চাইলাম না, পাঠকরা চাইলে পরবর্তী কোনো লেখায় তা নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা করা যাবে।
দেশের বর্তমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত ও হতাশ কিছু পাঠক এই সপ্তাহের লেখার বিষয়টি প্রায় নির্দেশই করে দিয়েছেন। তারা বলেছেন, উত্তরাধিকার সূত্রে নেতৃত্বপ্রাপ্ত দুই নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কী করতে চান তা নিয়ে লিখতে। দুই নেত্রী আসলে কী করতে চান, তাদের মনের গোপন বাসনার কথা বলতে পারার মতো দৈবজ্ঞ আমি নই। তবে তারা যা করছেন তার একটা বিশ্লেষণধর্মী মূল্যায়ন যে কোনো সচেতন মানুষই করতে পারেন। প্রথমে স্পষ্ট করে বলতে চাই, দুজনই ক্ষমতার কাঙ্গাল, তাদের রাজনীতির মৌল লক্ষ্যই হচ্ছে ক্ষমতার মসনদ এবং তা নিজের, পরিবারের ও গোষ্ঠী বিশেষের কল্যাণে, দেশ ও জনগণের কল্যাণে নয়। নীতি-আদর্শের যেসব কথা তারা মাঝে মাঝে বলেন ও শোনান, অনেকেই বলেন, জনগণের সঙ্গে তা স্রেফ প্রবঞ্চনা। দুজন নেতৃত্বের সর্বোচ্চ কাঠামোয় উঠে এসেছেন রাজনৈতিক উত্তরাধিকার সূত্রে নয়, পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে। তাদের আচরণে মনে হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দল দুটি তাদের পারিবারিক সম্পত্তি- তারা এবং তাদের দুই পরিবার দল দুটির মালিক। পরিবারের লোক ছাড়া দলের নেতৃত্ব কাঠামোয় অন্য যারা আছেন, পদ যত বড়ই হোক, আসলে তারা দল মালিকের স্টাফ অফিসার। কাজকর্মে অসন্তুষ্ট হলেই পত্র পাঠ বিদায়। দুই নেত্রী শুরু থেকেই উল্টোপথে হেঁটেছেন। একটা সময় স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যখন আমাদের সুশীল সমাজে ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমদ, অ্যাডভোকেট শামসুল হক চৌধুরী, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদের মতো ব্যক্তিদের সর্বজনীন সাহসী নেতৃত্ব ছিল, তারা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে এক গাড়িতে না হলেও এক সড়কে তুলতে পেরেছিলেন। অনুকূল ফলও এসেছিল। কিন্তু ওই একবারই। আর কখনো তা হয়নি। হওয়ার কোনো লক্ষণও স্পষ্ট নয়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি রাজনীতির নামে যে জঘন্য নোংরামি জাতি প্রত্যক্ষ করেছে তাতে দেখা গেছে, শাসক লীগ ও লীগ সরকার গণতন্ত্রের যে মেকি খোলসটি পরেছিল তাও খুলে ফেলে একেবারে উলঙ্গ হয়ে গেছে। বিএনপিসহ তার জোট সহযোগীদের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগের সংবিধান স্বীকৃত সব সুযোগ কেড়ে নেওয়ায় তারাও হিংসাশ্রয়ী লড়াইয়ের পথ বেছে নিয়েছে। ৫ জানুয়ারি লীগ সরকার 'গণতন্ত্র রক্ষা দিবস' ও বিএনপি-জামায়াত জোট 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। ২০ দলীয় জোট সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাপলা চত্বর এবং নয়াপল্টন- এই তিন জায়গার যে কোনো একস্থানে সভার অনুমতি চেয়েছিল। তারা অনুমতি পায়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভার অনুমতি পেয়েছিল শাসক লীগ। তারপর ৪ জানুয়ারি রাত বাড়ার পর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে সরকার তার বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে কী ন্যক্কারজনক কাজ করেছে দেশ-বিদেশের মানুষ তা প্রত্যক্ষ করেছে। শত শত পুলিশ-র্যাব, ইট-বালির ট্রাক এবং গেটে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখাই নয়, বেগম জিয়ার প্রতি পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করার মতো বর্বর আচরণও দেখেছে সবাই। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত জোট এখন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ একটি সরকারের অধীনে দ্রুত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় এবং এই মুহূর্তে চায় সংলাপ ও সমঝোতা। শেখ হাসিনা বেগম জিয়াকে জবাব দিয়েছেন অবরুদ্ধ করে, তার চোখে পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করিয়ে এবং বিএনপি-জামায়াত ও কাজী জাফরের জাতীয় পার্টির নেতা-নেত্রীদের নির্বিচারে গ্রেফতার করে। অর্থাৎ শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে একতরফা নির্বাচন করেছেন, দেশে-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ সেই নির্বাচনী ফলাফলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা সরকার ২০১৯ সাল পর্যন্ত চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবেন না তিনি। উন্নয়নের কথা বলে গণতন্ত্রের শর্ত তিনি অগ্রাহ্যই করতে চাচ্ছেন। তিনি কোনো দিকে ভ্রূক্ষেপ না করে হাঁটছেন তার আপন পথে। জনগণকে তিনি তার শক্তির উৎস ভাবছেন বলে মনে হচ্ছে না। সিদ্ধান্তে, আচরণে মনে হচ্ছে পুলিশ-র্যাব-বিজিবি তার শক্তির উৎস।
বেগম খালেদা জিয়াও তার আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন অবরোধ কর্মসূচিতে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য খালেদা জিয়া প্রস্তুত ছিলেন না। সাংবাদিকরা কর্মসূচি নিয়ে বিব্রতকর প্রশ্ন করাতেই নাকি তিনি অবরোধের কর্মসূচি দিয়ে বসেছেন। বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোনো কোনো নেতাকে উদ্ধৃত করে এমনও বলা হচ্ছে, তারা নাকি জানতেন না এমন কর্মসূচি আসবে, দলের কোনো ফোরামেই নাকি এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমার মনে হয় এমন ধারণা ঠিক নয়। দলের কোনো ফোরামে এ ব্যাপারে আলোচনা না হতে পারে; তবে কর্মসূচি বেগম খালেদা জিয়ার সুচিন্তিত ও পূর্বপরিকল্পিত। এ ব্যাপারে তিনি কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করেছেন বলে মনে হয়। ইতিপূর্বে বেগম জিয়ার সঙ্গে 'ওয়ান-টু-ওয়ান' আলোচনার খবরও ফাঁস হয়ে যাওয়ার খবর মিডিয়ায় এসেছে। এরকম ঘটনা আগে অন্য দলেও ঘটেছে। পঁচাত্তর সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রথা প্রবর্তনের চতুর্থ সংবিধান সংশোধনীর বিষয় বঙ্গবন্ধু দলের কোনো পর্যায়ে এবং পার্লামেন্টারি পার্টিতেও আলোচনা করেননি আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়া বা বিরোধিতার আশঙ্কায়। এবার সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত বিশেষ সংসদীয় কমিটির সদস্যরাও জানতেন না তাদের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করার আগ পর্যন্ত। ফাঁস হয়ে যাওয়া বা বিরোধিতার আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হয়তো করেছিলেন। বিএনপি নেতৃত্ব সম্পর্কে ইতিমধ্যে জনগণের একটা বদ্ধমূল ধারণা তো আছেই যে, এরা ভোগবাদী, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং হারানোর ভয়ে আন্দোলনবিমুখ। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ইতিপূর্বে বিভিন্ন কমিটির লোকদের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি নেওয়া যায়নি বা নিলেও বেগম জিয়া তার বাসায় পৌঁছার আগেই সব আন্দোলন-কৌশল প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে গেছে। বোঝা যাচ্ছে, এবার যারা মাঠে থাকবে তাদের সঙ্গেই বেগম জিয়া যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করেছেন। কেউ কেউ এমনও বলতে চান যে, সরকার বিএনপি-জামায়াতের যাদের গ্রেফতার করছে আন্দোলন পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের ব্যাপারে তারাও অন্ধকারে। ফলে এসব গ্রেফতারে কার্যকর কোনো ফল পাচ্ছে না সরকার- অর্থাৎ আন্দোলন দমাতে পারছে না।
আন্দোলন সহিংস রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে অবরোধে ২ জন নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চলছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত। দূরপাল্লার কোনো গাড়ি চলছে না বললেই চলে। পুলিশ, আনসার, র্যাব, বিজিবি পাহারার মধ্যেও অবরোধকারীদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে। ফলে যানবাহন মালিক ও শ্রমিক কেউ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। সারা দেশ থেকে রাজধানী প্রায়-বিচ্ছিন্ন। সরকার একদিকে বলছে, জনগণ বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে, আবার বলছে পণ্য চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় পণ্যমূল্য বাড়ছে। বলছে, প্রতিদিন অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অবরোধ হচ্ছে। শাসক জোটের এক নেতা অবরোধকারীদের বুকে গুলি চালানোর কথা বলেছেন, আবার বিজিবিপ্রধান বলেছেন আরও ভীতিকর কথা। তারপরও বিএনপি নেত্রী কর্মসূচিতে অনড়। এই আন্দোলনে তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত ভুল বোঝাবুঝি কমে আসছে। এর আগে জোটের কর্মসূচিতে জামায়াতের অংশগ্রহণ ছিল খুবই নগণ্য। কিন্তু এই অবরোধ কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। বিএনপিকে মাঠে পেয়ে তারা আরও সাহসী হয়ে উঠেছে। বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক নিয়ে বিএনপির অনেক সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীর মধ্যে যে প্রশ্ন ছিল তারাও মত বদলাতে শুরু করেছেন। তারা তখন বলছেন, সরকার বিএনপিকে যেভাবে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে 'মুসলিম লীগ' বানিয়ে দিতে চাইছে, এই সময়ে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দ্বন্দ্বটা গৌণ, লীগ সরকার ও শাসক লীগের সঙ্গে দ্বন্দ্বটাই প্রধান। প্রধান দ্বন্দ্বের মীমাংসাটাই আগে হওয়া দরকার।
পরিস্থিতিটা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, এক পক্ষ আরেক পক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার আগুন নিয়ে খেলছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার পারস্পরিক হিংসা, ঈর্ষা ও ক্রোধ এমনই মনে হয় যে, এই হিংসার অনলে তারা দুজন তো জ্বলছেনই, তাতে পুড়ছে দেশ, জ্বলছে সমগ্র জাতি। দুই দলের বিরোধ এখন রূপান্তরিত হয়েছে দুই নেত্রী এবং দুই পরিবারের বিরোধে। রাজনীতি ব্যক্তি ও পরিবারতন্ত্রের অক্টোপাসে আবদ্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই দল থেকেই গণতন্ত্র চর্চা, আদর্শ ও দর্শনের চর্চা বিলীন হয়ে গেছে। রাজত্ব ও সাম্রাজ্য রক্ষার জন্য তো আদর্শবাদী লোকের প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন 'লাঠিয়ালের'। ফলে দুই দলেই অনুপ্রবেশ ঘটেছে অরাজনৈতিক ব্যক্তি, অসাধু ব্যবসায়ী, কালো টাকার মালিক, অবসরপ্রাপ্ত আমলা এবং পেশিবাজদের। বড় বড় দল এই শ্রেণির লোকজনের দখলে চলে যাওয়ায় আদর্শবাদীরা হয় বিতাড়িত নতুবা কোণঠাসা। রাজনীতিতে ঢুকেছে দুর্বৃত্তায়ন ও লুণ্ঠন সংস্কৃতি। এই অবস্থা থেকে দুই দল ও রাজনীতিকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সুলতান মনসুর, মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ। দুর্বৃত্তদের সঙ্গে যুদ্ধে তারা হেরে গেছেন। রাজনীতিতে এখন রাজনীতিবিদদের কর্তৃত্ব নেই। দুই দলে দুই নেত্রীর দানবীয় প্রভাব দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনীতির সব সম্ভাবনা বিনাশ করে দিচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার।
দেশে এখন রাজনীতির নামে যা চলছে এর অবসান হওয়া দরকার। এটা কারও কাম্য নয়। তবে এ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সাধারণ মানুষও এখন সরকারকেই দায়ী করছে। ৫ জানুয়ারির পর সরকার বিএনপি-জামায়াতের সামনে সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনীতির কোনো পথই খোলা রাখেনি। তাদের সামনে কোনো বিকল্পই এখনো দেখা যাচ্ছে না। বিদেশি বন্ধুরা আবার মাঠে নেমেছে শান্তির অন্বেষণে। শান্তি কী আসবে? সরকার কী নমনীয় হবে? দুই পক্ষ নমনীয় না হলে মানুষ তো শান্তি, স্থিতি ও অগ্রগতির জন্য বিকল্প খুঁজবে। শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া, কী তা বুঝছেন না?
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।
ই-মেইল : [email protected]