যদি ও কিন্তুর মারপ্যাঁচে সেঞ্চুরিটা করেই ফেলেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। নিগারের রান তখন ৯৬। সেঞ্চুরি করতে দরকার আরও ৪ রান। ইনিংসের বল বাকি চারটি। থাইল্যান্ডের বাঁ হাতি স্পিনার টিপাথচা পুতোওয়াংয়ের বলে ডিপ মিডউইকেটে উঠিয়ে মারেন। ক্যাচ ওঠে। থাই ফিল্ডার দৌড়ে বলের কাছে এসেও মিস করেন। বল সীমানা পেরিয়ে বাউন্ডারি হয়। ওই বাউন্ডারিতে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান নিগার। সেঞ্চুরির ঘরে পৌঁছেই ইতিহাস লিখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিশ্বকাপ বাছাইপর্র্বে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। যদি ক্যাচটি ধরে ফেলতেন ফিল্ডার, তাহলে সেঞ্চুরি হতো না। কিন্তু ক্যাচ মিস করায় সেঞ্চুরি করেন নিগার। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের দুজন ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন। নিগার ছাড়া বাকি দুটি সেঞ্চুরি ফারজানা হক পিংকির। গতকাল লাহোরে নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে নিগারের সেঞ্চুরি এবং ফাহিমা খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌসের জোড়া ফাইভারে (৫ উইকেট) বাংলাদেশ জিতেছে ১৭৮ রানের পাহাড়সমান ব্যবধানে।
বাংলাদেশের ৩ উইকেটে ২৭১ রানের জবাবে ৯৩ রানে গুটিয়ে গেছে থাইল্যান্ড। বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ১৩ এপ্রিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৫ এপ্রিল স্কটল্যান্ড, ১৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১৯ এপ্রিল পাকিস্তানের বিপক্ষে বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবেন নিগাররা। ৫৪ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৮০ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ১০১ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন নিগার সুলতানা। টস হেরে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৩ উইকেটে ২৭১ রান। ওপেনার ফারজানা ৮২ বলে ৪ চারে ৫৩ ও শারমিন সুলতানা অপরাজিত থাকেন ৯৪ রানে। ১২৬ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১১টি চার। ২৭২ রানের টার্গেটে থাইল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৯৩ রানে। থাই নারী দলকে গুঁড়িয়ে দেন লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন ও অফ স্পিনার জান্নাতুল ফেরদৌস। ফাহিমার স্পেল ৮.৫-১-২১-৫ এবং জান্নাতুল ফেরদৌসের স্পেল ৫-৩-৭-৫।