বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমেরিকা থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীন থেকে শি জিন পিং এবং ভারত থেকে নরেন্দ্র মোদি এসে বাংলাদেশে কিছু করে দিয়ে যাবেন না। দেশের মানুষকেই ভবিষ্যৎ ঠিক করতে হবে।
গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সেমিনার হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমিনারে এক ভিডিও বার্তা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার সময় আমাদের নেতা অনেকেই ছিলেন। তখন তাদের একেকজনের একেক চিন্তা ছিল। কেউ সমাজতন্ত্র, কেউ কমিউনিজম, কেউ ধর্ম প্রতিষ্টিত করার চিন্তা করেছেন। তারপর যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে, আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করেছি। ২৪ সালেও একই ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আমরা এসেছি, যেদিন ছাত্রদের ওপর গুলি শুরু হয়েছে, তখন সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় শত বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। এই লড়াইয়ে আমাদের ত্যাগ আছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই আমাদের কয়েক হাজার তরুণের তাজা প্রাণ চলে গেছে। তাদের ত্যাগের কারণেই বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও সুখী দেশের স্বপ্ন দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর যদি সুরাহা করা না যায় তবে আরও বড় বিপদে পড়তে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন, আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করি। সমস্যা আছে এবং সমস্যার সমাধান হবে। আমি প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বিশ্বাস আছে, তিনি সফল হবেন। আসুন, সবাই মিলে তাকে সাহায্যের মাধ্যমে আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি। তবে একটা কথা, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, এটা কখনো চাপিয়ে দেওয়া যায় না, চর্চা করতে হবে।