কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, সৌন্দর্য মানুষকে অনেক কিছু এনে দিলেও নারীদের ক্ষেত্রে সৌন্দর্যই হতে পারে চাকরির পথে অন্যতম শত্রু।
জার্নাল অব সোশ্যাল সাইকোলজি'তে প্রকাশিত হলো সৌন্দর্য নিয়ে নেতিবাচক এই ফলাফল। এতে দেখা গেছে, বিশেষ করে পুরুষসুলভ কাজের চাকরিগুলোর জন্য অত্যন্ত সুন্দরী মেয়েদের প্রথম ক্ষেত্রেই সরিয়ে রাখা হচ্ছে। তবে নারীসুলভ কাজের যেসব চাকরি সেগুলোতে আবার অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন অতি সুন্দরীরা। অন্যদিকে, চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের জন্য সৌন্দর্য কোন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না।
গবেষকরা বলছেন, চাকরিটি পুরুষ কিংবা নারী যার জন্যই উপযোগী হোক না কেন, বেশি সুন্দর পুরুষ সবসময়ই অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছেন সেটি পাওয়ার জন্য।
গবেষকদলের নেতৃত্বে ছিলেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেনভার বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক স্টেফানি জনসন৷
গবেষকরা ৫৫ জন পুরুষ এবং ৫৫ জন নারীর ছবি পাশাপাশি রাখেন। এরপর নিয়োগদাতাদের ছবি দেখে নির্দিষ্ট পদের জন্য প্রার্থী পছন্দ করতে বলেন। দেখা গেছে, নিরাপত্তাপ্রধান, হার্ডওয়ার বিক্রেতা, কারা প্রহরী, ভারি ট্রাক চালক কিংবা নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধায়ক পদগুলোর জন্য খুব সুন্দরী মেয়েদের একদমই পছন্দ করা হচ্ছে না। যদিও এসব কাজের জন্য চেহারা-সুরত কোন মুখ্য বিষয় নয়। এমনকি গাড়ি বিক্রেতার মতো পদের জন্য যেখানে সৌন্দর্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ সেটির জন্যও অতি সুন্দরী মেয়েকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। বরং এই অতি সুন্দরী মেয়েদেরকে বেছে নেওয়া হচ্ছে অভ্যর্থনার কাজে কিংবা সচিব পদের জন্য।
অপর গবেষণায়, শুধু ছবি নয় বরং হাজির করা হলো জীবন-বৃত্তান্তও। সেক্ষেত্রেও ঘটল একই ঘটনা। অতিসুন্দরী প্রার্থীদের বাদ দেওয়া হলো উল্লিখিত পদের জন্য মনোনয়ন থেকে। তবে সুন্দরীদের পুরোপুরি হতাশ করছেন না গবেষকদলের নেতা জনসন। তিনি বলেন, কিছু চাকরি না পেলেও অতি সুন্দরীরা যদি কোন চাকরি পান, সেক্ষেত্রে পদোন্নতি কিংবা ভাতাবৃদ্ধির জন্য মনোনয়ন পান খুবই দ্রুত।
এছাড়া জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য ভোটের ক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এবং নিজেদের পক্ষে বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রেও অতি সুন্দরীদের জন্য রয়েছে অনেক বেশি সুযোগ, বলেন জনসন।