কনকচাঁপা নামটি খুব পরিচিত হলেও ফুলটি অনেকের দেখা হয়নি। এটি খুব একটা দেখাও যায় না। ঢাকায় বলধা গার্ডেন, শিশু একাডেমির বাগান ও রমনা পার্কে গেলে এ ফুলের অপরূপ শোভা এখন উপভোগ করা যাবে। সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়েও কনকচাঁপা দেখা পাওয়া গেলেও রংপুর অঞ্চলে এর দেখা মেলে কম। কনকচাঁপা নামে বাংলাদেশের সংগীত আর চিত্রকলা জগতে দুজন খ্যাতিমান শিল্পী আছেন।
ফুলটি সম্পর্কে জানা গেছে, চৈত্র মাসের শেষ থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত ফুল গাছটির বিভিন্ন পরিবর্তন চোখে পড়ে। এ সময় প্রথমেই তামাটে রঙের কচি পাতায় ভরে ওঠে গাছ। তারপর ফুটতে শুরু করে হলদে সোনালি রঙের ফুলগুলো।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ছোট কনকচাঁপা গাছে দ্বিতীয় বারের মতো গেল ফুল এসেছে। এই শহরে আর কোথাও কনকচাঁপার দেখা মেলে না—জানালেন বেরোবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ।
বাংলা একাডেমির সহ-পরিচালক এবং বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র, পায়রাবন্দ, রংপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না বলেন, এ ফুলে পাপড়ি অনেক। সারা গাছেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফোটে। ফুলের গন্ধে বাতাস সুরভিত হয়। আর ভোমরা ছুটে আসে পরাগরেণুর লোভে। ফুল ফোটা শেষে দেখা যায় রক্তিম খোসার ভেতর কালো রঙের ফল। সবকিছু মিলিয়েই কনকচাঁপা অনন্য একটি গাছ।
গাছটি খুব একটা বড় হয় না। ছোট বা মাঝারি উচ্চতার হতে পারে। মাথার দিকটা ছড়ানো থাকে। আমাদের দেশসহ মিয়ানমার ও ভারত এর আদি নিবাস। গাছের শিকড় সাঁওতালরা কাজে লাগায়। ছালের রস হজমিকারক হিসেবে উপকারে আসে—এমনটা জানা যায়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল