কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ভারতে ‘লশিখো’ নামের একটি অনলাইন আইনি শিক্ষা প্ল্যাটফর্মের কর্মীর অভিনব জালিয়াতি উদ্ঘাটন করা হয়েছে। সংস্থার সিইও বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
রামানুজ মুখোপাধ্যায় নামের ওই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হোম অফিস করার সুবাধে তার এক কর্মী তাদের প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়ে একসঙ্গে দুটি চাকরি করেছেন। তিনি অফিসের কাজে ফাঁকি দিয়ে গেছেন দিনের পর দিন।’ যদিও সেই কর্মীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন রামানুজ মুখোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে দেখা যায় ওই কর্মীর নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম কর্মঘণ্টা, নথি জালিয়াতি এবং ধারাবাহিক নিম্নমুখী কর্মক্ষমতা।’
রামানুজ বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ হয়েছিল কেউ একজন তার অফিস টাইম ও কাজে ফাঁকি দিচ্ছিলো। যেটি বিশ্লেষণের জন্য উপলব্ধ ডেটা এআইকে দেওয়া হয়। তখন এক কর্মীর এক সঙ্গে দুটি চাকরির জালিয়াতি ধরা পড়ে। মূলত হোম অফিসের সুবাদে ওই কর্মী এরকম জালিয়াতি করেন। প্রধান কর্মস্থানের নিয়মবহির্ভূত এই কাজ নিয়ে তাকে সতর্ক করা হয়। তবে তিনি অফিস আদেশ না মেনে উল্টো চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। পাশাপাশি লিংকডইনে কোম্পানির কাজের পরিবেশকে 'বিষাক্ত' বলে পোস্ট দেন।’
কর্মীর এমন আচরণে ক্ষুব্ধ লশিখোর সিইও আরও বলেন, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম মানে এই নয় যে- অফিসের প্রতি আপনার কোনও জবাবদিহিতা থাকবে না। এক ঘণ্টা কাজ করে একজন কর্মী ৮ ঘণ্টা কাজের বেতন দাবি করতে পারেন না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে, যে কারো কাজের উৎপাদনশীলতা বা কর্মের ফাঁকিবাজি লুকানো প্রায় অসম্ভব।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘জালিয়াতি করা ওই কর্মী গেল ফেব্রুয়ারি এবং মার্চের লক্ষ্যমাত্রা 70% অপূর্ণ রেখেছেন এবং নভেম্বর থেকে কোনও লক্ষ্যই পূরণ করেননি। এছাড়া লশিখোতে যোগ দেওয়ার সময় ওই কর্মী তার অফার লেটার, স্যালারি স্লিপ, এক্সপেরিয়েন্স লেটার-সহ গুরুত্বপূর্ণ নথি জাল করেছিলেন।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘লশিখো’ প্ল্যাটফর্মের এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে নেটিজেনদের মধ্যে। অনেকেই জালিয়াতি করা ওই অফিস কর্মীর সমালোচনা করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক