স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে বাচ্চা প্রসব না করেও মাত্র ৯ মাস বয়সের গরুর বাছুর দুধ দিচ্ছে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার। স্থানীয় লোকজন একে অলৌকিক ঘটনা বলছেন। বাছুরটিকে দেখার জন্য তার বাড়িতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার শত শত লোক ভিড় করছে।
গরুর বাছুরটির মালিক চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি গ্রামের মাস্টারপাড়ার আলহাজ্ব আফজাল হোসেনের পুত্র মোদাব্বির হোসেন খোকন (৩০) জানান, ৫/৬ বছর অাগে স্থানীয় হাট থেকে একটি গাভি কিনে বাড়িতে লালন-পালন করতে থাকি। সেটি পর্যায়ক্রমে ৩টি বাছুর দেয়। এরমধ্যে গত ৯ মাস অাগে গাভিটি একটি বাছুর প্রসব করে। সেটি দেখতে আকারে বেশ বড়। বাছুরটির বয়স ৬ মাস তখনই এর ওলানের প্রশস্ততা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর একটি বাট দিয়ে গাঢ় দুধ বের হতে থাকে। এ নিয়ে পশু চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করলে তিনি কোন চিকিৎসা দেননি। বরং প্রতিদিন দুধ দোহনের পরামর্শ দেন।
পশু চিকিৎসক ডা. শাহিনূর আলম জানান, বাছুরটির শরীরে হরমোন ইমব্যালেন্সের কারণে এমনটি ঘটছে। ধীরে ধীরে বাছুরটি চারটি বাট দিয়েই স্বাভাবিক দুধ দেয়া শুরু করে। ওই দুধ চিরিরবন্দর মিল্কভিটা ও শীতলীকরণ কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা করে কর্তৃপক্ষ জানায়, দুধ স্বাভাবিক।
তিনি আরও জানান, বাছুরটি প্রথমে আধা লিটার করে দুধ দিত। ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে বাছুরটি প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার করে দুধ দিচ্ছে।
গরুগুলোর দেখভালের দায়িত্বে থাকা রুবেল জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার ২/৩ শ' মানুষ বাছুরটিকে দেখতে আসছেন।
এ ব্যাপারে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ, চিরিরবন্দর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তারেক হোসেন এবং রাণীরবন্দর ইছামতি ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান প্রভাষক মো. আতাউর রহমান জানান, হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় অপরিণত বয়সে বা যে সময় দুধ দেয়ার কথা নয় সে সময় দুধ দিয়ে থাকে।