তার নাতি-পুতির সংখ্যাই ৫০-এর বেশি। ছেলেমেয়েদের বয়সও আশির কোটায়। তাতে কী! ১০২ বছরের 'যুবতী' গৌতিমাম্মার কাছে বয়সটা শুধুমাত্র একটা সংখ্যা। এই বয়স নিয়েও গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন লড়ে জিতেছেন তিনি। এই শেষ নয়, সর্বসম্মতিক্রমে পঞ্চায়েত প্রধানও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্নাটকের দোদ্দালাতুরুতে। গৌতিমাম্মার এক আত্মীয় রবিকুমার, যিনি আগে পঞ্চায়েতের সদস্যও ছিলেন এবং এক নাতি মঞ্জুনাথ তাকে নির্বাচনে লড়তে উত্সাহ দেন। কারণ এই আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়ত, এদেরই আর এক আত্মীয় চেন্নাজাম্মা এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। খানিকটা কৌতুহল বসেই নির্বাচনে নেমে পড়েন একশো পার করা বৃদ্ধা। তবে চেন্নাজাম্মার কাছ থেকে প্রচারের সময় কড়া কথা শুনে আর ঠিক থাকতে পারেননি। এই বয়সেও গ্রামে ঘুরে বাড়িবাড়ি প্রচার করেন তিনি। জলের সুব্যবস্থা, ভালো রাস্তাঘাট নির্মাণের কথা ছিল গৌতিমাম্মার সঙ্গী।
শুক্রবার বের হওয়ার ফলে দেখা যায় বড় ব্যবধানে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন গৌতিমাম্মা। ১৩৬ ভোটে তিনি চেন্নাজাম্মাকে হারিয়ে দেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ জুন ২০১৫/ এস আহমেদ