সন্তানের প্রতি সৎ মা’র খারাপ আচরণের ঘটনা নতুন নয়। তবে খারাপ আচরণ যখন ভয়াবহ অত্যাচারে পরিণত হয় এবং সন্তানের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে তখন সেই কুমাতার শাস্তি হওয়া বাঞ্ছনীয়। অন্তত এমনটাই বলেছেন কুইনস সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রিচার্ড বুচটার। আর তাই সেই সৎ মায়ের শাস্তি হিসাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৩৫ বছরের শীতল রানোটকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল দেশটির আদালত।
জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের কুইনসের বাসিন্দা শীতল রানোট তার ১২ বছরের সৎ মেয়ে একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। আর তাই গত দু’বছর ধরে চরম অত্যাচার করেছেন ছোট্ট মেয়েটির উপর। রাগের বশেই তিনি তার সন্তানকে নৃশংসভাবে মারার পাশাপাশি, গত দু’বছর ঠিক করে খেতে পর্যন্ত দেননি। এতেই থেমে নেই তার অত্যাচার। সৎ মেয়েকে ধাতব রড, জুতা দিয়ে বেধড়ক মারতেন তিনি।
আরও জানা গিয়েছে, জুতা দিয়ে মেয়ের মুখে লাথি মেরে মুখ ফাটিয়ে দিয়েছিলেন শীতল। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৪ সালের মে মাস পর্যন্ত মেয়েকে নিজের ঘরে আটকে রাখেন তিনি। মেয়েটি খিদের যন্ত্রণায় ছটফট করলেও তাকে খেতে দেওয়া হয়নি।
আর সন্তানের উপর এমন অত্যাচার করার অভিযোগের ভিত্তিতেই ১৫ বছরের জেল হল ওই মায়ের। শীতলের পাশাপাশি তার স্বামী রাজেশ রানোটের বিরুদ্ধেও স্থানীয় শিশু বিকাশ অধিদফতরের পক্ষ থেকে একইভাবে সন্তানকে হেনস্তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
যদিও বর্তমানে ঐ মেয়েটি সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় কুইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬/হিমেল-১০