রতিসুখের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের তারতম্য রয়েছে। যদিও নারীর রতিসুখের স্বরূপ দীর্ঘকাল অজ্ঞাত ছিল সভ্যতার কাছে। ১৯৬৭ সালে ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী ডেসমন্ড মরিস তাঁর ‘দ্য নেকেড এপ’ গ্রন্থে স্ত্রী-যৌনসুখের জৈবিক স্বরূপকে ব্যাখা করেন। অসংখ্য গবেষণা শুরু হয় চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে শুরু করে সমাজবিদ্যা ও মনোবিদ্যার অঙ্গনে। তা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত নারী-অর্গ্যাজমের বিষয়টা রহস্যময় হিসেবেই রয়ে গেল পুরুষ পৃথিবীর কাছে।
লিথুয়ানিয়ার ফোটোগ্রাফার অ্যালবার্ট পোসেজ নিজের আগ্রহে অধ্যয়ন করেছেন বায়োলজি এবং ফিজিক্যাল কালচার। তারপরে তিনি এই দুই বিষয়কে একত্র করে নারী অর্গ্যাজমের স্বরূপকে ক্যামেরাবন্দি করতে উদ্যোগী হন। তাঁর ‘নারী-রতিসুখসার চিত্রমালা’ ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে কলারসিক মহলে। মডেলদের মুখের প্রতিটি পেশির সংকোচন-প্রসারণকে অ্যালবার্ট তাঁর নির্দেশ-সাপেক্ষ রাখেন। তাঁর ‘ফিমেল অর্গ্যাজম’ সিরিজের মধ্যে তিনি নারীর আত্মরতিকেই তুলে ধরেছেন।
মানবীচেতনাবাদীদের মতে, আত্মরতির মাধ্যমে অর্গ্যাজম উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট-এর অন্যতম দিক। সেই বক্তব্যকেও মান্যতা দিচ্ছেন অ্যালবার্ট। তাঁর তোলা ছবিতে প্রকৃতি, নারী, আলা-ছায়া, রহস্য এবং শিল্প একাকার হয়ে রয়েছে, যা শরীরী আবেদনের সীমাকে অতিক্রম করে যায়। দর্শককেও নিয়ে যায় রতিসুখসারের চরমতম বিন্দুর সমীপে।
সূত্র: এবেলা
বিডি-প্রতিদিন/এ মজুমদার