ইচ্ছা অনেকদিন ধরেই হচ্ছিল সুদীপ্তর। সুযোগ বুঝে লুকিয়ে সপ্তাহে দু'-তিনটে ব্লু ফিল্ম দেখেও ফেলেছিল। দিন দিন অভ্যাসটাও বেড়ে যায়। সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক। কিন্তু, হুট করেই সব বন্ধ করে দেয় সে। হার্ড ডিস্কে রেখে দেওয়া কার্টুন চরিত্রের নামে হিডেন ফোল্ডার'টা ধরে সোজা ডিলিট করে দেয় সে। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছেলে এখন ব্লু ফিল্ম দেখা তো দূ্রের কথা, নামও মুখে আনে না। বন্ধুরা সবাই খুব অবাক হয়। শোনা গেছে, সকালে করে এসে সেরে সুদীপ্ত নাকি মন্দিরে গিয়ে বসে। পূজা আর্চনা করে। পরিচিত সমবয়সীদের তাই সুদীপ্তকে নিয়ে একটাই প্রশ্ন, এটা কী করে সম্ভব?
কিন্তু আসলেই এটি সম্ভব। উক্ত ঘটনা কাল্পনিক হলেও এই পরিবর্তন সম্ভব বলে দাবি করছেন ওকলোহোমা ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার সহকারী অধ্যাপক ড. স্যামুয়েল পেরি। তার মতে, 'অত্যাধিক পর্ন দেখা মানুষের বিবেকে অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। ভেতরে ভেতরে অপরাধবোধ কাজ করে। আর এর থেকেই তার মধ্যে এক ধরনের অপরাধবোধের জন্ম হয়। আর তাই বেড়ে যায় আধ্যাত্মিক ধরনের চিন্তা ভাবনা।'
২০০৬ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ১৩০০ মার্কিন নাগরিকের (সবাই পুরুষ) উপর পরীক্ষা চালান ড. পেরি। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, ২০০৬ সালে যারা বেশি ব্লু ফিল্ম দেখতেন, ৬ বছর পর তারাই বেশি করে প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন। এবং তাদের মধ্যে ভক্তিভাবের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা থেকেই ড. পেরি সিদ্ধান্তে আসেন যে অতিরিক্ত ব্লু ফিল্ম দেখলে মনে আধ্যাত্মিকতার সৃষ্টি হয়।
সূত্রঃ এই সময়।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর