রাতের অন্ধকার চিরে মঞ্চের ফ্লাড লাইটে দুলে উঠছে নারী শরীর। মঞ্চের উপর তখন যুগল নাচ দেখাতে ব্যস্ত। ‘নাচ’ বললে বোধ হয় ভুল হবে। নাচের মতো করে ‘অন্য কিছু’ দেখাতেই ব্যস্ত যুবক-যুবতীরা। সামনে লোলুপ দৃষ্টি নিয়ে চিক চিক করে উঠছে কয়েকশো জোড়া চোখ। কখনো হিন্দি গানের তালে কখনো চটুল বাংলা গানের তালে। নাচের আঙ্গিকেই যুবতীর শরীরের বিভিন্ন গোপনাঙ্গ ছুঁয়ে যাচ্ছে যুবকের হাত, ঠোঁট। নাচের মুদ্রার আদলে মঞ্চের উপরে যেন বসেছে যৌন সঙ্গমের আসর। ডিস্কো ডান্স, পোল ডান্স, ক্যাবারে ডান্সের পরে এবার প্রকাশ্যেই বসেছে ‘অশ্লীল’ ডান্সের আসর। এর পোশাকি নাম ‘বুগি বুগি ডান্স শো।’ কোথায়ও নাম ‘ডান্স হাঙ্গামা’, কোথায়ও আবার ‘যাত্রা ডান্স।’
ছাতা পর্ব উপলক্ষে ভারতের পুরুলিয়া শহরের কাছেই চাকলতোড় গ্রামে প্যান্ডেল খাটিয়ে বসেছে এ নাচের আসর। নাম দেওয়া হয়েছে বুগি বুগি ডান্স শো। অভিযোগ রয়েছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে নাচের আসরে টাকা উড়াচ্ছেন মদ্যপ দর্শকরা। সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছেন মেলা কমিটি ও পুলিশ। মেলা কমিটির সাফাই- অশ্লীল কোথায়? সম্পূর্ণ তো আর নগ্ন হয়নি? তাই দোষের কিছু দেখছেন না তাঁরা। আর জেলা পুলিশ কর্তারা খোঁজ নেওয়ার কথা বলেই দায় সারলেন।
তবে পুরুলিয়ার মত লোকসংস্কৃতি সমৃদ্ধ জেলায় এই ধরণের অশ্লীল নাচের আসর বসায় প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। এর আগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী মানভূমের লোকসংগীত বা ঝুমুরকে কুরুচিকর পর্যায়ে নামিয়েছেন ভিডিও অ্যালবাম বানিয়ে। সেই বির্তকের পরে এবার নয়া বিতর্ক। প্রকাশ্যে স্টেজে ব্লু ফিল্মের আদলে বুগি বুগি বা ডান্স হাঙ্গামার মঞ্চ। আইন, কানুন, পুলিশ, প্রশাসন সবই রয়েছে। তবু অন্ধকারে রঙিন হয়ে উঠছে নারী শরীর, বাকি সবই ঢাকা পড়ে যাচ্ছে আঁধারে।
সূত্র: এবেলা
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার