বর্তমানে আমরা আসলে ওভারশেয়ারিংয়ের যুগে বাস করছি। তারপরও ইন্টারনেটে অনেক ঘটনা দেখেই বেশ ধাক্কা খাচ্ছে মানুষ। সম্প্রতি এক নারীর নির্দিষ্ট যৌন অভ্যাসের গল্প শেয়ার করাকে কেন্দ্র করেও অনেক মানুষ ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করে ওই নারী জানিয়েছেন, 'তিনি এবং তার স্বামী চল্লিশের কোঠায় এক রোমাঞ্চকর যৌন জীবন কাটাচ্ছেন। এই রোমাঞ্চ আরো বেশি ছিল যখন তারা আরো কম বয়সী ছিলেন।'
ওই নারী লিখেছেন, সে (স্বামী) পুরোই যেন এক প্রদর্শনী এবং আমার মনে হয় আমিও তাই। আমাদের একে অপরকে স্পর্শ করার মজাটা আসে সিনেমার সময়। অর্থাৎ কোনো সিনেমা দেখতে গিয়ে স্পর্শ করার বিষয়টি দারুণ উপভোগ করি আমরা।
গল্পের আরো ভেতরে গিয়ে তিনি বলেন, তারা এমন ছবি দেখতে যান যার প্যারেন্টাল রেটিং অন্তত ১৫ বছরের থাকে। ফলে আশপাশে কোনো বাচ্চা থাকে না। এসব সিনেমা দেখতে গিয়েই তিনি যৌন কামনা অনুভব করতেন। তবে ভয় পেতেন আশপাশের কেউ দেখে তাদের না পুলিশে দিয়ে দেন।
এই গল্পে ক্ষোভপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন মানুষরা। এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয় মামসনেট এ।
একজন লিখেছেন, আপনাদের বিরুদ্ধে একের পর এক পুলিশে ফোন যাওয়া দরকার ছিল। দুজনেরই এটা প্রাপ্য।
অন্তত এই নারীর শাস্তি হোক তা চান অনেকে। অন্য একজন লিখেছেন, এসব ঘটানোর জন্য আপনার চাকরি চলে যাওয়া উচিৎ।
অনেকের মন্তব্য তাকে বিরক্তিকর, জঘন্য, কুরুচিপূর্ণ, মর্যাদাহানিকর বলে মন্তব্য করেছেন।
আরেকজন লিখেছেন, আপনার কোনো কমন সেন্স নেই এবং আপনার মাঝে কোনো পরিপক্কতা আসেনি।
অনেকে আবার এসব করা থেকে তাকে বিরত থাকতে বলেছেন। লিখেছেন, নিজের যৌন জীবনে অন্যদের সাক্ষী করবেন না। এখনই সাবধান হয়ে যান।
আবার একজন বলেছেন, আমার মনে আপনি এবং আপনার স্বামীর সেক্স থেরাপি নেওয়া উচিত। আপনি পাবলিক প্লেসে সেক্স করেন। এটা মোটেও ঠিক নয়।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট
বিডি প্রতিদিন/ ১৯ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-২১