প্রসব বেদনা উঠেছিল এক নারীর। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে তার জন্য স্ট্রেচার বা হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়নি। অগত্যা হাঁটতে হাঁটতে অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার সময়ই সন্তান প্রসব করে ফেলেন তিনি। মেঝেতে পড়ে সদ্যোজাত তৎক্ষণাৎ মারা যায়। এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
ঘোডাডোংরির বাসিন্দা নীলু ভার্মার প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল। তাঁকে নিয়ে আসা হয় বেতুল হাসপাতালে। যন্ত্রণায় তিনি হাঁটতে পারছিলেন না। তবুও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করেনি। তাঁকে করিডর দিয়েই হেঁটে যেতে বলা হয়। কিন্তু হাঁটার মতো অবস্থায় তিনি ছিলেন না। করিডরের সামনেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তিনি সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু সন্তানকে বাঁচানো যায়নি। করিডরের মেঝেয় পড়ে শিশুটি মারা যায়।
বেতুল সরকারি হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক একে বারাঙ্গা স্বীকার করেছেন যে কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্যই এই কাণ্ড ঘটে গেছে। যারা দোষী, তাদের শাস্তি দেওয়ার কথাও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ঠিক কী কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে তা অটোপ্সি রিপোর্ট না এলে জানা যাবে না।
সেই নারীর স্বামী বিকাশ ভার্মা জানিয়েছেন, ‘ঘোডাডোংরির প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সব ডাক্তাররা ছুটিতে থাকায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম স্ত্রীকে। প্রসব যন্ত্রণায় স্ত্রী কাতর ছিল। তবুও তার জন্য স্ট্রেচার বা হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়নি। অগত্যা হাঁটতে হাঁটতে অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার সময়ই সন্তান প্রসব করে ফেলে স্ত্রী। মেঝেতে পড়ে আমাদের সন্তান তৎক্ষণাৎ মারা যায়।’
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর