অস্ট্রিয়ায় একটি গরুর পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে এক জার্মান নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে দেশটি। ২০১৪ সালের ওই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় ওই পর্যটকের পোষা কুকুরকে। তাদের দাবি, ওই প্রাণীর কারণেই ভয় পেয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গরুটি। খবর ডয়চে ভেলের
সোমবার এক বিবৃতিতে অস্ট্রিয়ার সরকারের পক্ষে জানানো হয়, এখন থেকে পর্যটকদের মানতে হবে বিশেষ ‘কোড অফ কনডাক্ট’। অস্ট্রিয়ার টিরোল অঞ্চল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত হওয়ায় সেখানে প্রায়ই আসেন হাজার হাজার পর্যটক। সেখানে খামার ও পশুপাখি অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু নতুন আইন বলছে, নিজেদের পোষা পশুদের নিয়ে বেড়াতে গেলে মানতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম।
আগের মতো, খামারে বেড়ানোর সময় পোষ্যদের লাগাম পরিয়ে রাখা যাবে না। এর পাশাপাশি, খামারের মালিকদের বলা হয়েছে শক্ত বেড়া লাগানোর ব্যবস্থা করতে।
২০১৪ সালের ঘটনা যে ব্যক্তির খামারে ঘটে, তাকে বিশাল অংকের জরিমানা দিতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, খামারের গরুদের আটকে রাখতে যথেষ্ট উদ্যোগ নেননি তিনি।
অস্ট্রিয়ার পর্যটনমন্ত্রী এলিজাবেথ ক্যোস্টিঙ্গার বলেন, ‘আমরা খামারগুলিকে সম্পূর্ণরূপে আবদ্ধ করে রাখতে চাইনা। তাই আমরা নতুন আইনের মাধ্যমে পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে চাইছি।’
প্রাকৃতিক নিয়ম মেনেই গরুরা অন্য কোনো প্রাণী থেকে নিজেদের বাছুরকে বাঁচাতে মাঝে মাঝে আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে। এমনই ঘটনার শিকার হন ৪৫ বছরের সেই জার্মান নারী।
দুর্ঘটনা ঘটার সময় তিনি তার কোমরের সাথে কুকুরের লাগাম বেঁধে রেখেছিলেন। ফলে, গরুটি যখন কুকুরকে ধাওয়া করে, তখন গরুর পায়ের তলায় চাপা পড়ে যান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/১২ মার্চ, ২০১৯/মাহবুব