নেশা করলে যে কোনও মানুষেরই তো স্নায়ুর গতি বেড়ে যায়। ঠাণ্ডা মাথায় সুস্থ অবস্থায় আমরা যা যা করি, তা আর করা হয় না। বরং খারাপ গুণগুলো সামনে বেরিয়ে আসে। কাউকে খুন করতে চাইলে বা কারও ক্ষতি করতে চাইলে, এমনকি এত কিছু না করে কাউকে অত্যন্ত খারাপ কিছু বলে অপমান করতে চাইলে এ সময় সবই খুব বেশি বেশি করে করি আমরা। এই নেশা যদি কুমির করে ফেলে তাহলে! তাহলে আর কি! বিপদ মারাত্মক রকমের বেড়ে যেতে পারে। হচ্ছেও তাই। তবে এ দেশে নয়।
আমেরিকাতে এই বিপদ বেড়েছে। সে দেশের টেনেসির লোরেটো পুলিশ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও এই খবর দিয়েছে। এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, মানুষজন নেশা করে তার উচ্ছিষ্ট বা বাহ্য টয়লেটে ফ্লাশ করছে। সেই সবটাই গিয়ে মিশছে স্থানীয় পুকুর বা জলাশয়ে। ফলে সেখানে থাকা কুমিরেরা খুবই উত্তেজিত হয়ে পড়ছে। এবার তাদের দায়িত্ব কে নেবে? সেখানে এমনিতেই অনেক সময়ে দেখা যায়, কুমির রাস্তায় চলে এসেছে, বাড়িতে ঢুকে পড়ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই সে উত্তেজিত থাকলে, সে তার কাজের গতি বাড়িয়ে দেবে। তা কখনওই মানুষের জন্য সুখকর তো হবে না। তাই সেখানকার পুলিশ এ বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে বিজ্ঞাপন দিল সোশ্যাল সাইটে।
এই নেশা করে চরমভাবে অ্যাড্রিনালিন ঝরানোকে বলা হয় ‘মেথ’, আর এই নেশার জিনিস শরীরে মেশার পর সরীসৃপগুলোকে ‘মেথ রেপ্টাইল’ বলছে মার্কিন পুলিশ। তাদের কাছে যখন প্রথম কুমিরদের আচরণ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ আসে, তারা সে ব্যাপারে তদন্ত করতে এগোন। সেই তদন্তেই গত শনিবার লোরেটো এলাকায় তারা একজন ড্রাগ ডিলারের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে শৌচাগারে ১২ গ্রাম মতো ড্রাগ এবং প্যারাফেরনালিয়ার মতো মাদক দেখতে পান। যা ফ্লাশ করা হয়েছে। সেই ড্রাগ ডিলার সে সময়ে এই নেশার জাল থেকে মুক্তি পেতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তাই সে সব ফেলে দিচ্ছিলেন। তবে নিষিদ্ধ মাদক রাখার জন্য ইতিমধ্যেই তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আপাতত সেখানকার মানুষদের সতর্ক করতে এটুকুই বলা হয়েছে, যারা সেখানে পাইপ সারানো থেকে পুকুর পরিষ্কার করেন, তাদের কোনও কিছুতে বিশেষ অসুবিধে নেই। তবে এই কুমিরগুলো নেশার ঘোরে উত্তেজিত হয়ে গেলে, মুশকিল বেড়ে যায়। তাই সকলের কথা মাথায় রেখে, যে কোনও নেশার জিনিস টয়লেটে ফ্লাশ না করে পুলিশকে জানাতে হবে। সেখানে লোক গিয়ে সেগুলোর সদগতি করবে, অন্তত সেগুলো প্রকৃতিতে গিয়ে মিশবে না। সকলের জন্যই সেটা মঙ্গলময় হবে। সূত্র : দ্য ওয়াল
বিডি-প্রতিদিন/শফিক