যথাযোগ্য মর্যাদায় কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ২০১৬ পালন করেছে।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই-কমিশনার মিজানুর রহমান দিবসের প্রথম ভাগে বাংলাদেশ হাউসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে শোক দিবসের কর্মসূচী শুরু করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খবর হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তির।
জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
কানাডার রাজধানী অটোয়ার ম্যাকন্যাব কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই-কমিশনার মিজানুর রহমান। প্রথমেই ১৯৭৫ 'এর কালরাতের শাহাদাৎ বরণাকরী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং তাঁদের পরিবারের সকল শহীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতঃপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত তথ্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র "সোনালী দিনগুলি" প্রদর্শন করা হয় যা হলভর্তি উপস্থিত সকলকে আবেগাপ্লুত করে।
এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন, রাজনৈতিক আদর্শ, কর্ম, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সংগ্রাম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান, স্বাধীন দেশ গঠন ও রাষ্ট্রের মৌলিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বিনির্মাণে তাঁর প্রশাসনিক নেতৃত্ব ও সাফল্য এবং বাঙালীর মহান মুক্তিসংগ্রামে তার অবিস্মরণীয় অবদানের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বক্তব্য রাখেন কানাডা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ - মতিন মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, এম এ কাশেম, মুন্সী বশীর, সৈয়দ আনোয়ারুল হক, অধ্যাপক ওমর সেলিম শের, সেলিনা সিদ্দীকি, হাসিনা আক্তার জানু, ইতরাত জুবেরী সেলিম, গোলাম মুহিবুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্স।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রাশেদা নেওয়াজ, দেওয়ান মাহমুদ, শহীদুল ইসলাম মিন্টু, মাকসুদ খান এবং নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি আরীব সাইফুদ্দিন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বাংলাদেশ হাই-কমিশনের প্রথম সচিব অপর্ণা রাণী পাল। অটোয়া, টরন্টো এবং মন্ট্রিয়েল থেকে আগত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাগণ, সাংবাদিকবৃন্দ ও পেশাজীবীসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারবর্গ এবং ১৯৭৫ -এর ১৫ই আগস্ট কালরাতে শাহাদাৎ বরণকারী সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতিহা পাঠ ও দোয়া করা হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন অটোয়ার প্রসিদ্ধ ইসলামী চিন্তাবিদ এবং আস-সালাম মসজিদের ইমাম শেখ ইউসেফ বেরাদা।
বিডি প্রতিদিন/ ১৯ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন