বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত বাংলাদেশী নাজমা খানমের (৬০) জানাযা শুক্রবার বাদ জুমআ (বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ১টায়) জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে হবে। শনিবার রাতেই আমিরাতের ফ্লাইটে নাজমা খানমের লাশ শরিয়তপুরের উদ্দেশ্যে পাঠানোর কথা রয়েছে।
নিহত নাজমার স্বামী শামসুল আলম খান (৭৫) এনআরবি নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি স্ত্রী নাজমার আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকলের দোয়া চেয়েছেন।
নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় গত ৩১ আগস্ট রাত ৯টার দিকে নাজমা খানমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় প্রবাসীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার ঘটেছে। উদ্বেগ-উৎকন্ঠা চরম আকার ধারণ করেছে। নিরাপত্তাহীনতা গ্রাস করেছে পুরো সম্প্রদায়ের মধ্যে। ১ সেপ্টেম্বর দিনভর শতশত প্রবাসী নাজমা খানমের বাসায় গিয়ে শোকার্ত পরিবারকে শান্তনা দেন।
নিউইয়র্কের পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পরীক্ষা করছে। ১ সেপ্টেম্বর রাতে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের হেইট ক্রাইম টাস্ক ফোর্সও সক্রিয় হয়েছে ঘাতকের সন্ধান এবং খুনের কারণ উদঘাটনে। নাজমা খানমের স্বজন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও মনে করছেন যে, এটি বিদ্বেষমূলক হামলা। তবে কেউই নিশ্চিত হতে পারছেন না।
১১ বছর ধরে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত পুলিশ অফিসার হুমায়ূন কবীর (নাজমা খানমের ভাগ্নে) এ সংবাদদাতাকে বলেন, খালার কাছে থেকে কিছুই নেয়নি দুর্বৃত্তরা। তার কাছে নগদ অর্থ, সেলফোন, ঘড়ি, স্বর্ণালংকার- সবই অক্ষত ছিল। তাহলে এটি যে ‘হেইট ক্রাইম’- তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
পুলিশ ডিপার্টমেন্টের তদন্ত কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা খুনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছুই বলতে পারবো না।
শরিয়তপুর সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাজমা খানম ২০০৯ সালে ডিভি লটারিতে জয়ী হয়ে স্বামী ও কনিষ্ঠ পুত্র নিয়ে নিউইয়র্কে যান। গত জুন মাসে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান।
বিডি প্রতিদিন/ ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ ফারজানা