সৌদি আরবে বাংলাদেশি সেই প্রবাসীর নাম নাজের আল-ইসলাম আব্দুল করিম। তিনি রিয়াদে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন। বেতন ৭০০ সৌদি রিয়াল (১৮৭ মার্কিন ডলার)। সেদিনও তিনি শহর পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎই একটি স্বর্ণের দোকানের সামনে এসে পড়েন। স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে ঘেরাও সেই স্বর্ণের দোকান থরে থরে সাজানো অলংকারে।
আব্দুল করিম কিছুক্ষণের জন্য তন্ময় হয়ে চেয়েছিলেন। কী ভেবেছিলেন তখন, তা তিনিই জানেন। হয়তো প্রিয়জনদের কথা ভেবেছেন। মনে মনে শুধু বলেছেন, ইশ! যদি কিছু একটা কিনতে পারতাম। হয়তো নিজের অসার্থ্যকেই ধিক্কার জানাচ্ছিলেন। কিন্তু আব্দুল করিম জানেন না তিনি ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন। তাকে নিয়ে এরইমধ্যে সৌদির সামাজিক যোগাযোগ পাড়ায় মজা শুরু হয়ে গেছে।
কিন্তু সব মানুষ তো এক ধাতুতে গড়া নন। আব্দুল্লা আল-কাহতানি নামের এক সৌদি নাগরিক টুইটারে বিষয়টি জানতে পারেন। ওই প্রবাসীকে নিয়ে মজা করার বিষয়টিতেও তিনি আহত হন। পরে কয়েকজন মিলে সেই আব্দুল করিমকে খুঁজে বের করেন। তারপর যা তারা করেছেন, সেটাও অবাক করার মতো। আব্দুল করিমকে তারা সামর্থ্য অনুযায়ী সোনার অলংকার কিনে দিয়েছেন। নগদ অর্থ দিয়েছেন, খাবার কিনে দিয়েছেন। মাতৃভূমি বাংলাদেশে যাওয়ার রিটার্ন টিকেট দিয়েছেন। দিয়েছেন দুটি ফোন। এর মধ্যে একটি আইফোন সেভেন অন্যটি স্যামসাং গ্যালাক্সি।
আব্দুল করিম সব দেখে শুনে রীতিমতো বিস্মিত। তার যে ছবি তোলা হয়েছে সেটাই তিনি জানতেন না। কিন্তু খুশিও হয়েছেন অনেক। করিম বলেন, 'আমি শুধু আমার কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই ওই স্বর্ণের দোকানের কাছাকাছি হয়ে পড়ি। উপহার পেয়ে অনেক খুশি লাগছে। আমি অনেক কৃতজ্ঞ।'
সূত্র : ডেইলি মেইল
বিডি প্রতিদিন/৬ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা