যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে। ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ ও সরকারের সাফল্য উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের র্যালি থেকে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধাচরণকারী দল বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্র, ধ্বংসযজ্ঞ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও দেশব্যাপী অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টাকে প্রতিহত করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রকে রক্ষা করা হয়। আর এরই মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাঙালির নবজাগরণ ঘটে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে দীপ্ত প্রত্যয়ে।’
৫ জানুয়ারি বৃহস্প্রতিবার নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ ‘ডাইভার্সিটি প্লাজা’য় অনুষ্ঠিত এ র্যালিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুল করিম।
এসময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকতার হোসেন, মাহাবুবুর রহমান, সৈয়দ বসারত আলী, আবুল কাশেম, সামছুদ্দীন আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাসীব মামুন এবং আব্দুর রহিম বাদশা, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, কোষাধ্যক্ষ আবুল মনসুর খান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপ-প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সোলেমান আলী, কার্য্যকরী সদস্য খোরশেদ খন্দকার, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ড. প্রদীপ কর, মহিলা লীগের সভানেত্রী মমতাজ শাহনাজ, সেক্রেটারী ফরিদা ইয়াসমিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সবিতা দাস, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাৎ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, সহ-সভাপতি হোসেন সোহেল রানা, যুবলীগ নেতা আবু তাহের, গণেশ কির্তনীয়া, শেখ হাসিনা মঞ্চের কায়কোবাদ খান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘সুদূর এ প্রবাসেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ওদেরকে রুখে দিতে হবে আওয়ামী পরিবারকে ঐক্যবদ্ধভাবে।’ সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে লুৎফুল করিম বলেন, ‘জনসমর্থন হারিয়ে বিএনপি-জামাতের লোকজন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ওদের ব্যাপারে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।’
এদিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী গ্রুপ’ হিসেবে পরিচিত প্রায় সকলেই অংশ নেয়ায় মাঠ পর্যায়ের হতাশা দূর হলো বলে অনেকে মনে করছেন।
বিডি প্রতিদিন/৮ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল