মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার উদযাপিত হয়।
অষ্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলমানরা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলিম সম্প্রদায় কর্তৃক পরিচালিত পাঁচটি মসজিদ রয়েছে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়। এই মসজিদগুলোতে প্রতিবারের মতো এবারও তিনটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল আটটা, সারেনয়টা ও এগারোটায় পরপর অনুষ্ঠিত জামাতে ভিড় ছিল উপচে পড়া। এর মধ্যে বেশ কিছু মুসল্লি ছিলেন অন্যান্য মুসলিম কমিউনিটির।
ভিয়েনার প্রাণকেন্দ্রে বাংলাদেশিদের অর্থে ক্রয় করা জমির উপর নির্মিত ‘বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বাইতুল মোকাররম' এ স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন মাওলানা ড. ফারুক আল মাদানি, দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা গোলামুর রহমান আল আজাহারী, তৃতীয় জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা হাফেজ আবু জাফর।
প্রধান অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক ও সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম. নজরুল ইসলাম, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বাইতুল মোকাররম ভিয়েনার কর্মকর্তা আবিদ হোসেন খান তপন, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা জোবায়ের খান শূয়, এমরান হোসেন, আবদুর রব খান, মাসুদুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। উক্ত জামাতে অংশগ্রহণকারী বিপুল সংখ্যক মুসল্লিকে মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।
অষ্ট্রিয়ায় সবগুলো ঈদের জামাতে মানব কল্যাণ ও বিশ্বময় শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশিদের মসজিদগুলোতে প্রতিটি জামাতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের এবং মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী ঈদের জামাতের পর একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভিয়েনায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের অনেকেই কোরবানি দিয়েছেন। ভিয়েনা শহরের মধ্যে পশু জবাই করা নিষিদ্ধ থাকায় শহরের বাহিরে কসাইখানায় কোরবানি দিতে হয়। আর এইসব কসাইখানাগুলো ভিয়েনা থেকে বেশ দূরে। অনেকে ১০০ কিলোমিটার, কেউ ১৫০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে তাদের পছন্দের পশু কোরবানি করেছেন। কোরবানির ১/২ মাস আগে কসাইখানায় গিয়ে পশু নির্দিষ্ট করে বুকিং দিতে হয়। কোরবানির মাংস কেটে তা গুছিয়ে দেওয়ার জন্য ঐ সময়টায় কসাইখানা কর্তৃপক্ষ মুসলমান কর্মচারী নিয়োগ দেন। যার কারণে ইসলামিক নিয়ম মতো কোরবানি করতে কোন রকম সমস্যা হয় না।
উল্লেখ্য অষ্ট্রিয়া প্রবাসী সিংহভাগ বাংলাদেশী ভিয়েনায় বাস করেন। রাজধানীর বাইরে অন্যান্য শহরেও ব্যাপক উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন