‘বাঙালিয়ানায় সাজবো সাজ, পিঠা উৎসবে মাতব আজ’ শ্লোগানকে ধারন করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পিঠা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের দক্ষিণ পাশে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ১৯ তম ব্যাচের (২০১৫-১৬ মাস্টার্স) শিক্ষার্থীরা এ উৎসবের আয়োজন করেন।
হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিনের সভাপতিত্বে পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. অরবিন্দু সাহা, অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সুতাপ কুমার ঘোষ, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ শাহিনুর রহমান প্রমূখ।
পিঠা উৎসবে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পুলি পিঠা, পাটি সাপটা, জামাই পিঠা, বেনি পিঠা, পাকান পিঠা, ভাপা পিঠা, কমলা সুন্দরী, তালের বড়া, নকশী পিঠা, সেমাই পুলি পিঠা, রস পিঠা, সবজি পাকান, ছিটা রুটি, শামুক পিঠা, ডিম পিঠাসহ ২৩ রকমের পিঠার আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা।
হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষার্থী আহসানুল হক তানভির বলেন, ‘পিঠা উৎসব হল বাঙালি ঐতিহ্যের অন্যতম অংশ। এ উৎসব আমাদের বাঙালিয়ানাকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। পিঠা উৎসবের মত বাঙালি ঐতিহ্যের সকল উৎসব মাঝে মাঝে আয়োজন করা হলে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য রক্ষা পাবে।’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা বলেন, ‘পিঠা উৎসবে এসে আমার মা এর কথা মনে পড়ছে। যত পিঠাই খাইনা কেন আমার মা এর হাতের পিঠার মত কোন পিঠায় মজা পাই না। এ ধরনের ব্যাতিক্রম উৎসব আমাদের ঐতিহ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে বাঙালির কিছু হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য রক্ষা হচ্ছে। এই ধরণের উৎসব বাঙ্গালি সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যম। পিঠা উৎসবে কেউ পিঠা বানিয়ে, কেউ বন্টন করে, কেউ খেয়ে আবার কেউ দেখে আনন্দ উপভোগ করে। এরকম ভিন্ন ধর্মী আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার সাংস্কৃতিক চর্চা অব্যাহত রাখাতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল