জুলাই গণহত্যা ও দেশব্যাপী অপতৎপরতা চালানোর অপরাধে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি বলেন, এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক অভ্যুত্থানের প্রায় নয় মাস পরেও জুলাই গণহত্যা, পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বর হত্যার বিচারের জন্য আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে। যেই সরকারের পুরো শরীরে শহীদদের রক্ত, তারা কী সেই রক্ত ধুয়ে মুছে সুশীল সরকার সাজতে চায়? সময়ের পরিক্রমায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা যখন দেশে প্রবেশ করবে, তখন কী শুধু ইনকিলাব মঞ্চের ভাইদের ফাঁসি হবে?
এসময় তিনি পলাশীর যুদ্ধের কথা টেনে বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের যে ভুলের কারণে আমাদের একশত নব্বই বছর গোলামি করতে হয়েছে, সে ভুল কী আমরা আবারো করবাে? তাই অবিলম্বে গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘গড়িমসি বন্ধ কর-আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর’, ‘ওয়ান-টু-থ্রি- ফোর, আওয়ামী লীগ নাে মাের’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবাে রক্ত’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আকিল বিন তালেব বলেন, আমরা আজ রক্তে রঞ্জিত এক ইতিহাসের উপর দাঁড়িয়ে আছি। এই ইতিহাস জুলাই অভ্যুত্থানে হাজারো শহিদ ভাইয়ের রক্তে রচিত হয়েছে। তবে পরিতাপের বিষয় অভ্যুত্থানের দীর্ঘ নয় মাস পরেও খুনীরা দিব্যি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বিক্ষোভ করছে। আমরা কি শহিদ ভাইদের আমানত রক্ষা করতে পেরেছি? এই দেশে আজকে ক্ষমতা বণ্টনের রাজনীতি চলছে। পকেট ভারী করার রাজনীতি চলছে। অবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে শহিদদের আমানত রক্ষা করুন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই