কর্মচারী দক্ষতা ও শৃংখলা বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই কর্মচারীর নাম উকিল উদ্দিন। সে বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিসি অফিসের সাউন্ড সিস্টেম অপারেটর। একইসাথে কেন চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবেনা এ জন্য তাকে আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে কারন দর্শাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যানচলাচল বন্ধ করা ও কর্মকর্তাদের নামে আক্রমনাত্মক শ্লোগান দেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার রাত ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ স্বক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ কার হয়, বুধবার অফিস চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশসান ভবনের সামনে টিএসসিসি অফিসের সাউন্ড সিস্টেম অপারেটর উকিল উদ্দিনের নেতৃত্বে কতিপয় কর্মচারী আকস্মিকভাবে উচ্চস্বরে অকথ্য ভাষায় শ্লোগান দিয়ে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিততি ও ত্রাস সৃষ্টি করেন। তারপর তার নেতৃত্বে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট বন্ধ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যানচলাচল বন্ধ করে দেন। এছাড়া ওইসময় কিছু কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে ‘ধর ধর জবাই কর’ বলে শ্লোগান দেন। এইরূপ কর্মকান্ডের দ্বারা তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের চলমান সুষ্ঠু ও স্বাভবিক কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করেন যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃংখলা বিধির পরিপন্থী।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িত দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলামকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসান উল আম্বিয়া ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুর রশিদ। কমিটিকে যথাশীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসাকরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বিধি লঙ্ঘন করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। এইকসাথে এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার