ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানায় ডাকাতি মামলাটি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় অজ্ঞাতনামা মোট ১০-১২ জনকে আসামি করে দণ্ডবিধির ৩৯৫ এবং ৩৯৭ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন।
শৈলকূপায় থানায় মামলা নং ১৯/২৬-১-১৮। দণ্ডবিধির ৩৯৫ ধারায় ডাকাতির সাজা এবং ৩৯৭ ধারায় মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের উদ্যোগ সহকারে দস্যুতা বা ডাকাতির কথা বলা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্যার বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আমাদের থানার অভ্যন্তরে ঘটনাটি হওয়ায় তখন থেকেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছি এবং অব্যহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে শৈলকূপা থানার খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের বড়দহ নামক স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের গাড়িটি ডাকাতদের কবলে পড়ে। এসময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামালা করে তার গাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। তবে এ ঘটনায় গাড়িতে থাকা উপাচার্য কিংবা তার গাড়ি চালক ফরহাদের কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিডি প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল