ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। নারীদের অপমানের মধ্য দিয়ে এই ফ্রন্টের নেতাদের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি সম্পর্কে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের ‘কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
ঢাবির রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক বজলুল হক খন্দকার, অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ঢাবি কর্মকর্তা শিউলী আফসার প্রমুখ।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে মঈনুল হোসেন সমস্ত নারী জাতিকে অপমান করেছেন। এর মাধ্যমে তার কুৎসিত মনোজগতের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এর আগেও অসংবাধিক সরকারের উপদেষ্টা থাকাকালে তিনি ঢাবি শিক্ষকদের অপমান করেছিলেন। তার এসব কর্মকাণ্ডে মধ্যযুগের মনোভাব ফুটে উঠেছে। আর তিনিই হচ্ছেন এখন ঐক্যফ্রন্টের নেতা।
ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাবধান করে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, আপনাদের আরেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না দেশকে অস্থিতিশীল করতে ঢাবিতে লাশ ফেলার কথা বলেছিলেন। আপনাদের মনোভাব জনগণ বুঝে গেছে। ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়ার দুরভিসন্ধি করবেন না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নাম করে দেশে বিরাজমান গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবেন না।
ঐক্যফ্রন্টকে নারীবিরোধী ফ্রন্ট অভিহিত করে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, এটি একাধারে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রবিরোধী ফ্রন্ট। এই ফ্রন্টের নেতা মঈনুল হোসেনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সম্পর্ক আছে, খন্দাকার মোশতাকের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে তিনি দল গঠন করেছিলেন। তিনি সব সময় আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আপনারা তারা, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে আপনারা নারী ও দেশের অগ্রযাত্রা বন্ধ করতে পারবেন না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা