রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শুক্রবার সন্ধ্যায় শহীদ হবিবুর রহমান হলের মাঠ থেকে গলায় ছুরি ধরে দুই শিক্ষার্থীর থেকে ৪ মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ালবডিসহ সাঁড়াশি অভিযান চালায় ক্যাম্পাসে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমীর আলী হলের মাঠ থেকে বহিরাগত চার গাঁজা সেবনকারীকে আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ছিনতাইয়ের শিকার মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম, গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শরিফ হোসেন। এর আগেও এক সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ছিনতাইয়ে ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ছিনতাইয়ের খবর পাওয়ার পরই পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ প্রক্টরিয়াল বডিকে নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। যাতে করে ফোন ট্রাকের মাধ্যমে ছিনতাইকারীদের আটক করা সম্ভব হয়।
এদিকে, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ছিনতাইকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমীর আলী হল মাঠ থেকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় বহিরাগত চারজনকে আটক করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমীর আলী হলের মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন জাকির, কামাল, মোশাররফ ও মিজানুর। এরা সবাই স্থানীয় বহিরাগত । পরে তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর।
আটককের বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মাহবুব হোসেন জানান, ‘ছিনতাইয়ের খবর শুনে আমরা প্রক্টরকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছি। এসময় চার মাদকসেবীকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। শনিবার আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে। আর যারা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর