চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৮-১৯ সেশনের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।এ লক্ষ্যে শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে দায়িত্ব ভাগ করেও দেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়, হলের অভ্যর্থনা কক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভর্তিচ্ছুদের অভ্যর্থনা দিয়ে আবাসন ব্যবস্থার করে দিচ্ছে। আগন্তুক শিক্ষার্থীদের যাতে কোন কষ্ট না হয় এজন্য থাকার ও মশার কয়েল সরবরাহ করছে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। এমনকি নিজেরা না ঘুমিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের রুম ছেড়ে দিচ্ছে চবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
হলে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা এবং স্বল্প খরচে খাবারের ব্যবস্থা করার দিকেও নজরদারিতে আছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে মূল্য তালিকা দেয়া হয়ে সে অনুযায়ী খাবার মূল্য নিচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে তারা। এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে খাবারের দোকান। যেখানে তারা কম মূল্যে শিক্ষার্থীদের খাবার সরবরাহ দিচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগ নেতা ইফরাতুল আলম পিটু বলেন, যাতে ভর্তি ইচ্ছু শিক্ষার্থীরা কম মূল্যে ভাল খাবার পায় সে লক্ষ্যে আমরা এ খাবারের দোকান দিয়েছি। শাখা ছাত্রলীগের আরেক নেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, রাত দিন পরিশ্রম করে স্বল্প মূল্যের খাবার দিচ্ছি শুধু ছাত্রলীগের সুনাম রক্ষা করতে।
এছাড়াও সরেজমিনে দেখা যায়,ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য প্রদান ও শিক্ষার্থী সহায়তা কেন্দ্র, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বাগতম জানাতে শুভেচ্ছা মিছিল, পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ক্যাম্পাসে বসার ব্যবস্থা করাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গ। অনুভূতিও ব্যক্ত করেছেন দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শিক্ষার্থীরাও জানিয়েছে তাদের অনুভূতির কথা, ঢাকা থেকে আসা মোহাম্মদ খালিদ হাসান শিশির নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘এখানে আমার তেমন পরিচিত কেউ ছিল না, ভাবছিলাম কোথায় থাকব, কিন্তু এখানে আসার পর ভাইয়াদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছি।’
এ বিষয়ে চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জানান, চবি শাখা ছাত্রলীগ শিক্ষার্থী বান্ধব রাজনীতি করে, তাই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসে যাতে কোন ধরণের সমস্যায় না পড়ে যায় সেই লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে পরীক্ষা চলাকালীন সময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সার্বক্ষণিক কাজ করেছে।ইতোমধ্যেই আমরা আবাসিক হলগুলোতে ভর্তিচ্ছুদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও প্রত্যেকটি ভবনের সামনে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তার জন্য ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছে। এছাড়া ভর্তিচ্ছু এবং তাদের অবিভাবকদের মাঝে সুপেয় পানি বিতরণ করেছি।
ভর্তি পরীক্ষা যতদিন চলবে এই সেবাকার্যক্রম ততদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। এদিকে, ছাত্রলীগের সহায়তার এমন বর্ণিল আয়োজনে মুগ্ধ শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা। এমন ছাত্রলীগের দ্বারাই সোনার বাংলা গড়া সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অবিভাবকেরা। এবং ছাত্রলীগকে সকল ক্ষেত্রে এ সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথা জানান তারা।
এদিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা দিনরাত নিরলসভাবে সেবা দিয়ে গেলেও তাদের মুখে নেই কোন রকম বিরক্তির ছাপ। পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার মধ্যেই যেন আনন্দ খুজে পাচ্ছে তারা। মনির মুহাম্মাদ মাহফুজ, দেলোয়ার হোসেন, সাহাদাত হোসাইন, ফয়সালসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রতিটি রুমে রুমে থাকার ও কয়েল দিয়ে দিচ্ছি যাতে ওদের থাকার কোন কষ্ট না হয়।’
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর