সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুর্নবহাল করে তা সরক্ষণ ও বিশেষ কমিশন গঠন করে প্রিলিমারি থেকে শতভাগ বাস্তায়নসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড পরিষদ।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান ফটক ও রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এই দাবি জানান তারা।
এদিন, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ করে দেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্যরা। এতে সহাসড়কের দুই পাশে যানজটরে সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন রাজশাজী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি তারিকুল হাসান। তিনি বলেন, আমাদের বাবারা নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে এদেশের স্বাধীনতা এনেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে সরকারি চাকরিতে জাতির পিতা ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী গুটি কয়েক জামায়াত-শিবিরের লেজুড়ধারী শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামিয়ে দেয়। দেশে যাতে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না সেকারণে প্রধানমন্ত্রী কোটা ব্যবস্থা তুলে দিয়েছিলেন। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মাথায় রেখে সরকারিতে চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা পুর্নবহাল করবেন।
তারিকুল হাসানের বক্তব্য শেষে অবস্থান কর্মসূচিতে ৬ দফা দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্যরা। তাদের এই ছয় দফা দাবিগুলো হলো-
১. রাজাকারসহ স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের বংশধরদের সরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিচ্যুত ও নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
২. সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুর্নবহাল, সংরক্ষণ এবং বিশেষ কমিশন গঠন করে তা প্রিলিমিনারি থেকে শতভাগ বাস্তবায়ন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত পদগুলো বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।
৩. জাতির পিতা ও তার পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ এবং প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধ চেতনা বিরোধী সকল প্রকার অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বঘোষিত রাজাকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবনে হামলাসহ সকল প্রকার অরাজকতা সৃষ্টিকারি স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ও দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. সরকারিতে নিয়োগেরে ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্মের বয়স সীমা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ি আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর