রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচন নিয়ে সংলাপে বসতে ছাত্রসংগঠনগুলোর মূল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চাওয়ায় আপত্তি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
রবিবার দুপুরে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি অবিলম্বে সংশোধনের দাবি জানিয়ে প্রক্টরকে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছে ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। স্মারকলিপিতে সুষ্ঠভাবে রাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ৪ দফা প্রস্তাবনাও দিয়েছে তারা। প্রগতিশীল ছাত্রজোটের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেন মিলন এসব তথ্য জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে রাকসু নির্বাচনের সংলাপে বসতে গত ২০ জানুয়ারি প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানকে প্রধান করে কমিটি গঠন করে প্রশাসন। পরে গত ২২ জানুয়ারি এই কমিটি ছাত্রসংগঠনগুলোর নাম, গঠনতন্ত্র ও কমিটির তালিকাসহ মূল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আহ্বান করে।
রাকসু গঠনতন্ত্রে ছাত্রসংগঠনের মূল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের প্রসঙ্গ উল্লেখ নেই বলে স্মারকলিপিতে দাবি করেন ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। স্মারকলিপিতে বলা হয়, রাকসু নির্বাচন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ছাত্র প্রতিনিধি নিশ্চিত করার একটি প্রক্রিয়া। যা একটি স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এর কোন সামঞ্জস্য নেই। তাই প্রগতিশীল ছাত্রজোট মনে করে রাকসু নির্বাচনের সংলাপ কমিটি ছাত্রসংগঠণগুলোর মূল রাজনৈতিক দলের (নির্বাচন কমিশন কর্তৃক) নিবন্ধন চাওয়ার যৌক্তিকতা নেই।
রাকসু নির্বাচন সুষ্ঠভাবে নিশ্চিত করতে স্মারকলিপিতে ছাত্রজোট নেতারা ৪ দফা প্রস্তাবনাও জানিয়েছে। তাদের প্রস্তাবগুলো হল, সংলাপ কমিটির বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে সংশোধন, ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের উপস্থিতি নিশ্চিত করে পরিষদ গঠন, আবাসিক হলগুলো দখলদারিত্ব মুক্তকরণ, অবিলম্বে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ করতে হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, "ছাত্রজোটের নেতারা দলের নিবন্ধনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। আমি তাদের বলেছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের কাছে যা যা আছে সেগুলো যেন জমা দেয়। পরবর্তীতে আমরা আলোচনা করে তাদের আপত্তির বিষয়ে সিদ্বান্ত নিব।"
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর