ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের অংশ নেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার রাতে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপি নেতারা একটি বিষয়ে সব নেতা একমত হন যে, প্রায় তিন দশক পর অনুষ্ঠিতব্য ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপিতে যুক্ত ছিলেন বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে ১৯৯০ সালে ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল এবং জয়ীও হয়েছিল। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল ছিল আমান-খোকন-আলম পরিষদ। সেই সময়ে রাজপথ কাঁপানো ছাত্রনেতা আমানউল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন ও নাজিমউদ্দিন আলমের নেতৃত্বাধীন প্যানেল জয়ী হয় ডাকসু নির্বাচনে।
বিএনপির ভ্যানগার্ড ছাত্রদলের সেই সোনালি সময়টা এখনও ভোলেনি রাজনীতি সচেতনরা। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারাও সেই আন্দোলন আবারও দেখতে চান। এ কারণেই ডাকসু নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, ডাকসু নির্বাচন কেন্দ্র করে এ দেশের রাজনীতির বাঁক বদলেছে বহুবার। ডাকসু নির্বাচনে কারচুরির ইস্যু কাজে লাগিয়ে বহু গণআন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। এবারও সেই স্বপ্নে বিভোর দলটির নীতিনির্ধারকরা। তাদের বিশ্বাস ডাকসু নির্বাচন স্বচ্ছ হলে ছাত্রদল জয়ী হবে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া বৈঠক চলে রাত প্রায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন