মাথায় ফুলের মুকুট। কপালে লাল টিপ। কানে সবুজ রঙের দুল। গলায় মাটির গহনা। পরনে বাসন্তি শাড়ি। দু'হাতে চুড়ি। পহেলা ফাগুনে এভাবেই সেঁজেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোশারাত ফারহানা শাম্মা।
আজ পহেলা ফাল্গুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেজেছে নবরূপে। শীতের রুক্ষতা ছেড়ে সবাই যেন সতেজতা অনুভব করছে। মেয়েরা সেজেছে হলুদ আর সবুজ শাড়িতে ছেলেরা হলুদ পাঞ্জাবিতে। এ যেন এক অন্যরকম দৃশ্য।
কেউ পহেলা ফাল্গুনের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল বের করেছে। আবার কেউ প্রিয়জনের সাথে ঘুরছে আপন মনে। লাবণ্য নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির হয়েছে ঋতু রাজ বসন্ত। এ বসন্তকে পুরোদমেই মাতিয়ে তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীরা। প্রেমিক যুগলদের জন্য হৃদয় রাঙানোর অন্যান্য দিন এটি।
তাই ২১’শ একরের ক্যাম্পাসে তাদের বিচরণ। সকল বিভাগ ও ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সাম্প্রদায়িকতাকে বিসর্জন দিয়ে এই দিনটি উৎযাপন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ছুটে এসেছে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা। ফাল্গুনকে বিশেষভাবে উদযাপন করবে বলে।
১৫৮৫ সালে মোঘল সম্রাট আকবর বসন্ত উৎসবের প্রবর্তন করেছিলেন। এরপর থেকে এই উৎসব পালন করে আসছে বাঙালিরা। কালের বিবর্তনে এ দিনটি হয়ে দাড়িয়েছে বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বর, শহীদবুদ্ধিজীবী চত্বর, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী চত্বর, যাদুঘরের সামনে, জারুলতলা, মুক্তমঞ্চ, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, জিরো পয়েন্ট এলাকা, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, বোটানিকেল গার্ডেনসহ বিভিন্ন স্থানে তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত।
বসন্ত উৎসবে উদযাপন করতে আসা লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবরিনা চৌধুরী বলেন, মধুর বসন্ত এসেছে, সকল জাতি-বর্ণ-নির্বিশেষে মধুর সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য গড়ে উঠুক- এমনটা প্রত্যাশা করি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন