বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এর নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের শিক্ষকরা।
আজ বুধবার জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সুপারিশের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই মন্তব্য করেন শিক্ষকরা।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক এবিএম শহিদুল ইসলাম, আলামিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী, আবুল কালাম সরকার, ড. মামুন আহমেদ, অধ্যাপক আল মোজাদ্দেদী আলফেছানি, অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন সম্রাট, শহিদুল ইসলাম, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
মানববন্ধনে সাদা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব কারও দয়ার দান নয়, এটা তার অর্জন। মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ অবদান রেখেই তিনি এই খেতাব অর্জন করেছেন। যথার্থভাবেই বাংলাদেশ সরকার তাকে মূল্যায়িত করেছেন। এই খেতাব বাতিলে জামুকার আইনগত কোনো এখতিয়ার নেই।
জামুকার অপতৎপরতার নিন্দা জানিয়ে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান তিনি।
অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমানের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, বিএনপির প্রতি ভালোবাসা আছে থাকবে। কাগজে নয়, খোদাই করে নয়, জিয়াউর রহমানের নাম সকলের হৃদয়ে আছে। এই কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ান, সঠিক ইতিহাস চর্চা করুন। না হলে আগামীতে আপনাদের খেসারত দিতে হবে।
অধ্যাপক হাসানুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ যার হাত দিয়ে শুরু হয়েছিল, যিনি একাধিক, যার নামে একটি ফোর্স ছিল। তাজউদ্দীন আহমেদসহ সে সময়ের যারা ছিলেন তারা সবাই জিয়াউর রহমানকে।
সভাপতির বক্তব্যে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, যে খেতাবটি দিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার। যেটি তৈরি করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। জামুকার দায়িত্ব ছিল এ দেশের মানুষের সঠিক তালিকা তৈরি করা, মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন করা। ইতিহাস বিকৃত করার কারণে যারা জিয়াউর রহমানকে ভুলতে বসেছিল, সে প্রজন্ম আজ জেগে উঠেছে জিয়াউর রহমানকে জানার জন্য। বর্তমান সরকারকে বলব আপনারা জামুকার এই সুপারিশে কর্ণপাত করবেন না।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত