শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধে নিবন্ধনের ব্যবস্থা চালু করেছে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করতে হলেই মূল ফটকের বুথে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের বাইরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আজ সোমবার সকাল থেকে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কয়েকটি ব্যাপারে কথা বলেন সাংবাদিকদের সাথে। আচার্যের হস্তক্ষেপ চান কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে একটি খোলাচিঠি পাঠিয়েছি। আমরা সদুত্তরের অপেক্ষায় আছি।’
তারা জানান, মন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীর কথার প্রেক্ষিতে তারা ক্যাম্পাসে গেইটে পরিচয় পত্র দেখে ক্যাম্পাসে প্রবেশের ব্যবস্থা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে যারা ঢুকবে তাদের পরিচয় নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি রেজিস্ট্রেশন বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাইকে মাস্ক পরে ঢুকতে হবে। এছাড়া বহিরাগত কেউ যাতে আন্দোলনে ঢুকতে না পারে এ জন্য এ ব্যবস্থা করেছি।
গত কয়েকদিন ধরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি একটাই, উপাচার্যের পদত্যাগ। অনশনে অংশ নেওয়া ২৮ শিক্ষার্থীর মধ্যেই ২০ জনই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। অনশনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় হাসপাতাল থেকে পাওয়া খাবার পথশিশুদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
তারা আরও বলেন, আমাদের তিন দফার আন্দোলনে পুলিশি হামলার পরে আমরা এই উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করছি। এই দাবির পর থেকে আন্দোলন চলছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে 'বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক' এর ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
এদিকে, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আজ সোমবার জাবির জনসংযোগ কার্যালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।