জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, বাঙালি জাতির সংস্কৃতি হাজার বছরের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ একটি সংস্কৃতি। আমাদের এই সংস্কৃতিকে আমরা সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সক্ষমতা আছে তা দিয়ে সারা বাংলাদেশে আমাদের প্রায় আড়াই হাজার কলেজে আমরা বাঙালি ও বাংলাদেশি সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে চাই।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, গত ১৫-১৬ বছর আমরা একটি শ্বাসরুদ্ধকর সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি, যা থেকে গত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তি পেয়েছি। সেই মুক্তিটাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
এদিন দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর নেতৃত্বে সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন-ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত), পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। রঙিন সাজে সজ্জিত শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা শেষে একাডেমিক ভবনের সিনেট হলে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম। সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের এবং গণমানুষের শিল্পী মৌসুমী চৌধুরী ও পরান আহসান। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরব উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই