সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে ইজতেমা নিয়ে দুই পক্ষের চরম উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজননৈতিক নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের চেষ্টায় উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। সমঝোতার মাধ্যমে শুক্রবার এশার নামাজের পর মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ করেন সাদপন্থীরা।
এনিয়ে শুক্রবার দিনভর সাদপন্থী ও জুবায়ের পন্থীদের মধ্যে ছিল টানটান উত্তেজনা। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ ছিল সতর্ক।
জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমার বদিকোনায় সাদপন্থীরা শুক্রবার দোয়া মাহফিলের অনুমতি নিয়ে তিনদিনের ইজতেমার প্রস্তুতি শুরু করে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তাবলীগ জামায়াতের জুবায়েরপন্থীরা। আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী সাদপন্থীদের ওই ইজতেমা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বিপুল সংখ্যক মুসল্লী নিয়ে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে চন্ডিপুলে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে সাদপন্থীরাও বদিকোনা থেকে মোটরসাইকেল শোডাউন করে চন্ডিপুলের দিকে আসার চেষ্টা করেন। এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ উভয়পক্ষকে আটকে দেয়।
পরে দক্ষিণ সুরমার খোজারখলায় তাবলীগ জামায়াতের উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। দুইদফা বৈঠক শেষে সাদপন্থীরা এশার নামাজের পর মোনাজাত শেষে ইজতেমাস্থল ত্যাগে সম্মত হলে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) সুহেল রেজা বলেন, ‘সমঝোতার মাধ্যমে উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। এশার নামাজ পর্যন্ত সাদপন্থীদের সময় দেওয়া হয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন