বসন্ত আর ভালোবাসা দিবস মিলে সারাদেশের মতো রঙিন হয়ে ওঠেছিল সিলেটও। সিলেট বিভাগের সকল পর্যটনকেন্দ্রে নেমেছিল পর্যটকদের ঢল। কেউবা সপরিবারে আবার কেউ ভালোবাসার মানুষটির হাত ধরে ছুটে গিয়েছিলেন পর্যটন কেন্দ্রে। সবমিলিয়ে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে তৈরি হয়েছিল বাসন্তি ভালোবাসার আবহ।
সোমবার সকাল থেকে সিলেটের জাফলং, সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, চাবাগান, সুনামগঞ্জের নিলাদ্রি, শিমুলবাগান, টাঙ্গুয়া, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, লাউয়াছড়া, মাধবপুর লেক, মাধবকুন্ড, হবিগঞ্জের সাতছড়ি উদ্যানসহ সকল পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় জমতে থাকে। দিনভর পর্যটনকেন্দ্রগুলো ছিল মূখর। সিলেটের স্থানীয় পর্যটকদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও পর্যটকরা বেড়াতে আসেন এসব স্থানে।
সিলেট নগরীর পার্শ্ববর্তী লাক্কাতুড়া চা বাগানে বেড়াতে আসা মিরাবাজারের সাজিদ আনোয়ার ও সোহেলী আক্তার জানান, চলতি বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর প্রথম বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে তারা ঘুরতে বের হয়েছেন। সকালে তারা ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তারা লাক্কাতুড়া চা বাগান দেখতে এসেছেন। ঘরের পাশে বাগান থাকলেও পড়ন্ত বিকেলে চা বাগানের এমন সৌন্দর্য্য এর আগে দেখা হয়নি বলে জানান তারা।
ঢাকা থেকে তাহিরপুরের জয়নাল আবেদীনের শিমুল বাগান দেখতে আসা রাহেল আহমদ ও তমা মির্জা বলেন, ‘আমাদের যুগল জীবনের প্রথম ভালোবাসা দিবস উদযাপনে এখানে ছুটে এসেছি। এই বাগানের সৌন্দর্য্য দেখে মনে হয়েছে এখানেই বুঝি বসন্ত ও ভালোবাসা এসে মিশেছে। এতো সুন্দর শিমুল বাগান এর আগে কোনদিন কোথাও দেখিনি।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন