ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছে তারা শুধু এই সরকারের বিরুদ্ধেই না, এই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। তারা রাষ্ট্রের শত্রু। বর্তমানে যুদ্ধপরাধীদের বিচার বানচাল করতে চারদিকে যে সকল ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। এই ষড়যন্ত্রকারীরা বাইরে যতটুকু না শক্তিশালী ভিতরে তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী। তাদের শেকড় আরও গভীরে বিস্তৃত। সবাইকে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
শনিবার 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা' বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। রিজিওনাল এন্টি টেররিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (রাত্রি) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকটি রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১০টায় শুরু হয়।
অধ্যাপক আজাদ বলেন, প্রায় ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এরপর কত যুগ চলে গেছে, অথচ যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়ে কেউ কথা বলেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন- যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে। দেরিতে হলেও সেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। তিনি বলেন, আইন মানুষের জন্য। মানুষের অধিকারের জন্য। নৈতিকতার জন্য। যারা এই অধিকারের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের এই রাষ্ট্রে জায়গা হতে পারে না। তারা সবাই অপরাধী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ড. জিয়া রহমান, জাপান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, ইসলামি চিন্তাবিদ হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান, অ্যাডভোকেট এ এম আমিনুদ্দিন, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির আহবায়ক শাহরিয়ার কবীর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ড. এম এ হাসান, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম (বীর বিক্রম), মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদ, সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ অক্টোবর ২০১৫/ এস আহমেদ