সুকৌশলে প্রথমে পরিবারের সব সদস্যদের নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। এরপর বাড়ি থেকে নগদ অর্থ, সোনার গয়না লুট করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গৃহপরিচারিকা। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী মহানগরীর উপশহর এলাকায়।
ওই বাড়ি থেকে নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা, ১৫ ভরি সোনা ও একটি ক্যামেরা চুরি করে নিয়ে যায় ওই গৃহপরিচারিকা। এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক থানায় একটি মামলা করেন।
এদিকে মামলা দায়ের করার পরে পুলিশ ওই গৃহপরিচারিকা উম্মেতুনকে নগরীর তেরখাদিয়া এলাকা থেকে ৮ জানুয়ারি গ্রেফতার করেছে। আজ সোমবার তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বাড়ির মালিক একরামুল হক জানান, উম্মাতুন (৫০) নামের ওই গৃহপরিচারিকাকে তারা বাড়ির কাজের জন্য নিয়েছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার দারুশা এলাকায়। তিনি জানান, ৪ জানুয়ারি বাড়িতে তার পিতা এজাজুল হক (৭০), মা নারনীম আরা হক (৬০) ও বোন রওফাত আরা হক (২৮) উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে ওই তিনজনকে খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে দিলে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ওই সময় গৃহপরিচারিকা উম্মেতুন বাড়ির স্টিলের আলমারি ভেঙে নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা, ১৫ ভরি সোনা ও একটি ক্যামেরা চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর উম্মেতুন পলাতক ছিলেন। পরের দিন ৫ জানুয়ারি বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, ওই গৃহপরিচারিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ও মালামালগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন