নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় ভেজাল ও নকল পণ্য প্রতিরোধে বিএসটিআই সার্বক্ষণিক অভিযান চালাতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল হক।
তিনি বলেন, ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত বছর আট শতাধিক অভিযান চালিয়ে ১২শ'র মতো প্রতিষ্ঠানকে জেল-জরিমানা ও কারখানা সিলগালা করেছি। অভিযানের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করে। কিন্তু বিএসটিআই'র নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট থাকলে যখন-তখন অভিযান চালানো যেত।
শনিবার ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'অনুমোদনহীন বিষাক্ত মশার কয়েল: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভোক্তারা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
রিয়াজুল হক বলেন, বিএসটিআই ১৫৪টি পণ্যের অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে মশার কয়েলও আছে। ১৫০টি কয়েল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এর বাইরেও অনেক প্রতিষ্ঠান কয়েল প্রস্তুত করছে যা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জেনেছি। অননুমোদিত কয়েল বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিঘ্রই সাড়াশি অভিযান শুরু হবে। এজন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত আছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল জ্যাকব, ক্যাব'র চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. শামসুজ্জামান, ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বি. জে. এএমএম সালেহ ভূইয়া, শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ, জাতীয় বক্ষব্যাধী ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোস্তাফা হোসেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক. ডা. মনিলাল আইচ লিটু, র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন, গাইনোকোলজিস্ট ডা. নওশিন শারমিন পূরবী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, এসিআই লি. এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আলমগীর, পরিবেশ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, ঢাকা জেলার ভেজাল বিরোধী অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানবীর মুহম্মদ আজিম প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ