দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যদি নিজেদের কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির দালিলিক প্রমাণসহ অভিযোগ পায়, তাহলে শুধু চাকরি থেকে বিদায় নয়, তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ২০১৬ সালে ধারণা এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কিছু কার্যক্রম আমরা গ্রহণ করেছি। এবছর কর্মকর্তাদের নৈতিক স্থলনজনিত যে কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা ঘরে-বাইরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি গ্রহণ করবো।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যদি কৌশলগত লক্ষ্য না থাকে তাহলে কোনো কাজই সুষ্ঠুভাবে শেষ করা সম্ভব নয়। কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদী কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা অবশ্যই সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, বাস্তবায়নযোগ্য, প্রাসঙ্গিক, সময়াবদ্ধ হতে হবে।
এতে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, মহাপরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, আসাদুজ্জমান, ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া, আতিকুর রহমান খান, মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী প্রমুখ।