সিলেটে মাদরাসা ছাত্র আল আমিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার দুলাভাই ফয়সল আহমদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
নগরীর কোতোয়ালী থানার ওসি গৌছুল হোসেন জানান, সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ফয়সল আহমদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী আয়েশার সাথে মনোমালিন্য ছিল ফয়সল আহমদের। গত কিছুদিন ধরে আয়েশা বাবার বাড়িতেই থাকছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফয়সল ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটান বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন। জবানবন্দি দেয়ার পর আদালত ফয়সলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার নগরীর একটি মাদরাসার ছাত্র আল আমিনকে (১৬) অপহরণ করে শহরতলির খাদিম চা বাগানে নিয়ে হত্যা করেন ফয়সল আহমদ (২৭)। আল আমিন নগরীর শেখঘাট ভাঙ্গাটিকরপাড়ার ৩নং বাসার নুরুল ইসলাম টুটুলের ছেলে।
পরদিন রবিবার পুলিশ আল আমিনের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিলেটের মোগলাবাজার থানার সিলাম টিকরপাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে ফয়সলকে।
আল আমিন হত্যা মামলার এজাহারে নুরুল ইসলাম টুটুল উল্লেখ করেছেন, ফয়সল আহমদ তার (টুটুল) মেয়ে আয়েশা আক্তারের স্বামী। ফয়সল ‘খুবই বাজে স্বভাবের লোক’। আয়েশাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন ফয়সল। গত ২০-২৫ দিন ধরে আয়েশা বাবার বাড়িতে থাকায় ফয়সল তার (টুটুল) ছেলেমেয়েদের ‘হত্যা ও অপহরণের হুমকি’ দিচ্ছিলেন।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে টুটুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আল আমিনকে ‘অপহরণ করেন’ ফয়সল।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান