১১ দফা দাবিতে সারাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে টানা আন্দোলন কর্মসূচিতে আবারও রাজপথে নামছে পাটকল শ্রমিকরা। ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট, রাজপথ-রেলপথ অবরোধ, লাঠি মিছিল, ভুখা মিছিল ও শ্রমিক জনসভার ধারাবাহিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিক সিবিএ-ননসিবিএ পরিষদের আহ্বায়ক সরদার মোতাহার উদ্দিন।
এর আগে সকালে সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও পরে বিকালে সংসদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সাথে বৈঠক করেন শ্রমিকরা। এসব বৈঠকে শ্রমিকদের ১১ দফা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জানা যায়, মজুরি কমিশন, বকেয়া পরিশোধ ও বদলি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণসহ ১১ দফা দাবিতে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৮টি রাষ্টায়ত্ত পাটকলে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ২ জানুয়ারি একই দাবিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের আরো ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট পালিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১২ জানুয়ারি খুলনার খালিশপুর শ্রমিক জনসভায় ২য় পর্যায়ের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে লাঠি মিছিল, ভুখা মিছিল, বিক্ষোভ মিছিলের সাথে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি সারাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৩১ জানুয়ারি রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ করা হবে।
খুলনা-যশোর পাটকল শ্রমিক সিবিএ-ননসিবিএ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন বলেন, সিবিএ-ননসিবিএ শ্রমিক আন্দোলনে মূলত মজুরি কমিশন, বকেয়া মজুরী পরিশোধ ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত খুলনা-যশোরের ৮ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ জানুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব