যুবলীগকে অন্যদের ফলো (অনুসরণ) করতে বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, যুবলীগ বক্তৃতার চেয়ে কাজে বেশি বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের সমাবেশে বিভিন্ন সংগঠন মিছিলসহ আসে। দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগ নতুনত্ব নিয়ে এসেছে। তারা বাংলাদেশের প্রতীক লাল-সবুজের সমারোহ ঘটায়। নেত্রীর জনসভাকে নান্দনিক রুপ দিয়ে থাকে। নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুসংগঠিতভাবে মাঠে থাকে। নেত্রীর বক্তৃতা শেষ হলেই তারা মাঠ ছাড়ে। যুবলীগের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে। তাদেরকে ফলো করুন।
আজ দুপুরে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ দক্ষিণের নেতারা বক্তৃতা করেন।
আগামী ১৯ জানুয়ারির সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমাবেশ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যেক ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জনসভায় মিছিল নিয়ে আসে, আবার ট্রাকে করে চলেও যায়। যারা এই যাওয়ার আসার মধ্যে থাকেন, তাদেরকে বলুন, যুবলীগকে ফলো করুন। নেত্রীর জনসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকুন। যারা শেখ হাসিনার কথা শেষ না করেই চলে যায়, তারা কোনভাবেই সাচ্চা কর্মী নয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন বক্তৃতা কম, এ্যাকশন বেশি। যুবলীগ বক্তৃতার চেয়ে কাজে বেশি বিশ্বাসী। ওমর ফারুক চৌধুরী সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজনীতির উপর গবেষণা হচ্ছে, বিভিন্ন পুস্তক প্রকাশিত হচ্ছে। এগুলো এ্যাসেট। মানুষ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নতুনভাবে জানতে পারছে। এই কাজটি করার দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগ যা করতে পারেনি, যুবলীগ তা করে দেখিয়েছে। যুবলীগ যে নেতৃত্বের সূচনা শুরু করেছে, আগামীতে সে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারবো। শেখ হাসিনা কোন রাজনীতিক নয়, শেখ হাসিনা রাষ্ট্র নায়ক। যুবলীগ সে বিষয়টিই প্রতিষ্ঠিত করছে। কারণ শেখ হাসিনা নির্বাচন নিয়ে ভাবে না, ভাবে একটি পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে।
সভায় যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, দলের নেতাকর্মীদের জানতে হবে শেখ হাসিনা এখন দলের উর্ধ্বে চলে গেছেন। তিনি এখন জনগণের নেতা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছেন। এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গেলে শেখ হাসিনার চিন্তা, দর্শন উপলদ্ধি করতে হবে। আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে দেশের মালিক জনগণ, এটাই শেখ হাসিনার দর্শন। এজন্য তিনি দল দেখেন না, দেখেন জনস্বার্থ। তাই নেতাকর্মীদের বলি, কারো উপর খবরদারি করবেন না। সাবধান হয়ে যান।
সভাপতির ভাষণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নিবাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বিজয় উৎসবের অংশ হিসেবে আগামী ১৯ জানুয়ারি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়ছে। ওই জনসভায় রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনাকে জানান দিতে চায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সত্যিকারের শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। আমরা লাল-সবুজ ফিতা, সবুজ ক্যাপ ও গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় দুপুরের আগেই জনসভাস্থলে প্রবেশ করবো। রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার বক্তৃতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে উপস্থিত থেকে সভাকে সাফল্য মন্ডিত করবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল